ভারতে ৪০ লাখ এইডস আক্রান্ত
২৬ মে ২০১৩জাতীয় এইডস কন্ট্রোল সাপোর্ট প্রোজেক্ট (এনএসিএসপি ) বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মঞ্জুর করা ২,৫৫০ কোটি টাকায় ঝুঁকি প্রধান জনসম্প্রদায়ের মধ্যে এইডস বা এইচআইভি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক পরিষেবা জোরদার করা হবে৷ এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকও অনুরূপ অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে৷ ভারতে এইডস বা এইচআইভি আক্রান্তদের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখের মত৷ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নাইজিরিয়ার পরই ভারতের স্থান৷
ভারতের মত জনবহুল দেশে যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা খারাপ, জনগণের একটা অংশ অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত, সেখানে এইডস সংক্রমণ বাড়াটা অস্বাভাবিক নয়৷ তবু এইডস নিয়ন্ত্রণে ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ইউএনএইডস৷ তবে এই সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে সিপলা ও ব়্যানব্যাক্সির মত ভারতের কিছু ওষুধ কোম্পানি৷ ঐসব কোম্পানি কম দামে এইডস বা এইচআইভি প্রতিরোধক ওষুধ বাজারে ছেড়েছে৷ তাতে বহু জীবন রক্ষা পেয়েছে স্রেফ ভারতেই নয়, আফ্রিকাতেও৷
ভারতে প্রথম এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়ে চেন্নাই-এ ১৯৮৬তে৷ তারপর থেকে একের পর এক রাজ্য এর কবলে পড়ে৷ তবে কেন্দ্রীভূত থাকে সমাজের গরিব, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে৷ যার মধ্যে আছে গ্রাম থেকে শহরে আসা শ্রমিক, ড্রাগ সেবনকারী, পুরুষে-পুরুষে যৌন সম্পর্ক ও যৌনকর্মী৷ প্রথমদিকে সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ সংক্রামিত হলেও পরে তা সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে৷ ছড়িয়ে পড়ে শহরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে৷ আক্রান্তদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা বেশি৷ চারজনের মধ্যে একজন মহিলা৷ তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের স্থান ওপরের দিকে৷
ভারতে এইচআইভি সংক্রমণ বাড়ার কারণ কী ? ভারত জনবহুল বিশাল দেশ৷ সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য আলাদা৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার হার কম, নানা ভুল ধারণার প্রচলিত৷ বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক৷ সচেতনতার অভাবে যৌন-বাহিত সংক্রমণের চিকিৎসা না করানো৷ নারী-পুরুষের সংখ্যাগত বৈষম্যের দরুন নারীরা এর শিকার হয় বেশি৷
কী ভাবে ছড়ায় এই রোগ ? অসুরক্ষিত যৌন সম্ভোগ, এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত নেয়া, সংক্রামিত ইনঞ্জেকশন সিরিঞ্জ ব্যবহার করা৷ এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মা থেকে সন্তানের মধ্যে সংক্রমণ৷ এইডস/এইচআইভি প্রতিরোধের কৌশলগত উপায় হলো, শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো৷ স্কুল ও কলেজে এইডস শিক্ষা কর্মসূচি চালু করা৷
এইডস-এর লক্ষণ কী ? দেহের ওজন কমে যাওয়া,একমাসের বেশি জ্বর, একমাসের বেশি পেট খারাপ, একমাসের ওপর কাশি, চুলকানি, মুখে ও গলায় সাদা সাদা দাগ এবং লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া ইত্যাদি৷