‘এই নির্বাচন এতো বিস্ময়কর না’
২২ ডিসেম্বর ২০২৩২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি বিস্মিত হয়েছিলাম ২০১৪ সালে৷ যে নির্বাচনে জনগণের ভোট দিতেই যেতে হয়নি৷''
‘‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'' টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল: সমঝোতার ভোট ও অসহযোগ৷ ১৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয় করে কার্যত বিরোধী দলবিহীন এই নির্বাচনের আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের অর্থ ও আসন সমঝোতার নির্বাচনকে কোনোভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ বলা যায় কিনা এসব বিষয়ে আলোচনা করতে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক মাসুদ কামাল এবং সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু৷
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, ‘‘শরিকদের ৬টা আসন দেয়া, জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেয়া এইটা একটা কৌতুক৷ এর মাধ্যমে আসলে এই দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে৷''
বর্তমান গণমাধ্যম এই সরকারকে একটা স্পেস দিচ্ছে বলে মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যম মালিকদের কমপক্ষে ১১জন মালিক এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে সরকারের থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য৷ সবসময় আমরা দেখেছি একটা ব্যালেন্স থাকে৷ এই সরকারের আমলে আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷''
আসন ভাগাভাগির এই নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘‘নির্বাচনের বিকল্প কী? নির্বাচনের বিকল্প তো অন্য কিছু নাই৷ এই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ছেলেখেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতা মনে করবেন না৷ নিজেরা নিজেরা অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক৷''
সাংবাদিক পিন্টুর এই মন্তব্যের জবাবে সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, ‘‘বিকল্প হলো দেয়াল ভাঙ্গা৷ বিকল্পহীন জায়গায় পুরো জাতিকে নিয়ে গেছে কে? আওয়ামী লীগ করেছে, এই সরকার করেছে৷ এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে আর বিকল্প নাই৷''
সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘‘এই জায়গায় আওয়ামী লীগ এমনি এমনি চলে আসছে? আওয়ামী লীগকে ধাক্কায়ে নিয়ে আসা হয়েছে৷''
সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টুর কথা ধরেই সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন সম্পূরক প্রশ্ন করেন ‘‘আওয়ামী লীগ কি এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছে যে বিএনপি যেন নির্বাচনে না আসে?'' তার জবাবে সাংবাদিক পিন্টু বলেন, ‘‘এইবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আওয়ামী লীগ চেয়েছে বিএনপি যেন নির্বাচনে দুর্বল হয়ে আসে৷''
এসএইচ/এআই