এই দেশ, এই পরিবেশ
১৭ জুন ২০১১আজ বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস৷ ‘মরুকরণের ঝুঁকিতে দেশ', শিরোনাম দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক৷ বিশেষজ্ঞরা তাই আশঙ্কা করছেন৷ মরুকরণ চোখে পড়ে যখন বিস্তৃত এলাকা জুড়ে মাটি অনুর্বর হতে থাকে৷ দ্বিতীয়ত, যদি নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যেতে থাকে৷ গত কয়েক দশক ধরে এই লক্ষণগুলো বাংলাদেশে প্রকট হচ্ছে, জানাচ্ছেন প্রতিবেদক৷ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জরিপ করে দেখেছে, দেশের মোট ৩১০টি নদীর মধ্যে মৃত ও মৃতপ্রায় নদীর সংখ্যা ১১৭৷ কোনো নদী পলি পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ কোনো নদী দখল হয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যুদের হাতে৷ আর আছে জলাভূমিতে যথেচ্ছ কৃষিকাজ৷
সাধারণভাবে পরিবেশেরও একই দশা৷ ভোরের কাগজের ‘এই জনপদ' অংশের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘ইটভাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড়'৷ প্রথমেই রয়েছে: ‘‘চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর, ইসলামপুর ও দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক ইটভাটায় গত সাত মাসে ইছামতির সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে প্রায় ৭০ লাখ মণ কাঠ জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হয়েছে৷'' এছাড়া ইছামতি বন রেঞ্জের আওতাধীন পাহাড়ের মাটি কেটে ইট তৈরী হচ্ছে৷ প্রতিবেদক বলেছেন ‘পরিবেশ বিধ্বংসী' ইটভাটার কথা, যেখানে ‘পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে' কাঠ পোড়ানো হচ্ছে৷
পরিবেশ আইনকে ফাঁকি দেওয়ার পন্থা তো একটা নয়, অনেক৷ যেমন প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন, শিরোনাম: ‘টিলার চূড়ায় পুকুর'৷ সূচনাটা এইরকম: ‘‘চারদিকে ঝোপঝাড়ে ঘেরা জঙ্গুলে এলাকায় এক টিলা৷ সমতল থেকে চূড়ার উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট৷ নীচ থেকে দেখলে সাধারণ একটি টিলা বলেই মনে হয়৷ কিন্তু কষ্ট করে ওপরে উঠলেই... দেখা যাবে, টিলার চূড়ায় আর এক পুকুর!'' অর্থাৎ পরিবেশ আইনকে ফাঁকি দিয়ে টিলা কাটা চলেছে৷ ওদিকে ধস নামার বিপদটা যে আছে, সে'কথা কেউ ভাবে না৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম