ভারত থেকে অস্ত্র কিনতে মেননের না
২১ আগস্ট ২০১৯আরেক বামপন্থী নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স এ বিষয়ে ঐকমত্য জানিয়েছেন৷ অবশ্য আরেক সাবেক মন্ত্রী ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মনে করেন, ভারত থেকে অস্ত্র কেনাই যেতে পারে৷
সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ৷ কিন্তু ওই অর্থ দিয়ে এখনো কোনো সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়নি৷ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক বৈঠকে ঋণের ওই টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে অনুরোধ করেন৷
ডয়চে ভেলেকে এক সাক্ষাৎকারে মোমেন বলছেন, ঋণের টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে ভারত থেকে কি ধরনের অস্ত্র কেনা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ৷
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ সরকার সাড়া দেবে না বলেই মনে করছেন সরকারের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এ ধরনের কোনো শর্ত দেওয়া উচিত নয়৷ কারণ ওই চুক্তির আওতায় সামরিক সরঞ্জাম কেনার কোনো কথা ছিল না৷ সরকার এ ধরনের কোনো বিষয়ে সাড়া দেবে বলে আমি মনে করি না৷''
বাংলাদেশের কোন ধরনের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে তা মূল্যায়ন করে ভারত থেকে তা কেনা হলে তাতে কোনো অসুবিধা দেখছেন না জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘অনুরোধ করতেই পারে৷ ...আমরা তো অস্ত্র কিনছিই৷ যখন কিনব তখন মূল্যায়ন করে যদি ভারত থেকে কেনা যায় তো আপত্তি থাকার কারণ আছে বলে মনে করি না৷
আর্মড ফোর্সেস আছে... আর্মির জন্য সময় সময় আমরা অস্ত্র কিনি৷ মিয়ানমার ১১ লাখ মানুষ তাড়িয়ে দেয় আমরা আশ্রয় দিয়েছি৷ ভবিষ্যতে যদি ওরকম কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে৷''
সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করবে এবং যা আমাদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে সেটি আমরা কখনোই চাই না৷
‘‘ঋণ দেওয়ার সময় ভারতের কতগুলো শর্ত দেখেছি, তখনও আমরা বিরোধীতা করেছিলাম৷ আমি মনে করি ওই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনার কোনো প্রয়োজন নাই৷ বরং ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় যেসব সংকট রয়েছে- তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্ত হত্যাকান্ড, অসম বাণিজ্য সেগুলোর সমাধানেই গুরুত্ব দেয়া দরকার৷''