উৎসব শুরু, চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ও বিক্ষোভ

পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আগেই মহা মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন চিকিৎসকদের সংগঠন। মঙ্গলবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুজোর কারণে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ফলে মেডিক্যাল কলেজের গেট থেকে মিছিল হয়।

চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউয়ের মিছিল রাস্তার ধার ধরে হয়, যাতে গাড়ি চলাচলে সমস্যা না হয়। ডাক্তারদের পাশাপাশি মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। ডিডাব্লিউকে তারা জানিয়েছেন, উৎসবে নয়, তারা দ্রোহে আছেন।

ধর্মতলায় অনশন মঞ্চের সামনে এমনই একটি বোর্ড লাগানো হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষ এসে অনশনরত ডাক্তারদের জন্য বার্তা লিখে যাচ্ছেন।

প্রতিদিন অনশন মঞ্চে আসছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। আসছেন অনশনরত চিকিৎসকদের পরিবারের মানুষেরাও। মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তেমনই এক মায়ের কান্না।

সাধারণঁ মানুষের পাশাপাশি সেলিব্রিটিরাও প্রায় প্রতিদিন যাচ্ছেন অনশন মঞ্চে। মঙ্গলবার রাতে মঞ্চে এসেছেন চৈতি ঘোষাল। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই তিনি ডাক্তারদের সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন।

পঞ্চমীর মতো ষষ্ঠীর দিনও নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছেন ডাক্তাররা। তাদের অভিযোগ, অনশন মঞ্চে জল পর্যন্ত আনতে দিচ্ছে না পুলিশ। এনিয়ে মঙ্গলবারও পুলিশের সঙ্গে এক দফা বচসা হয় তাদের।

পুজোর প্যান্ডেলেও 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' ব্যাচ বিলি করা হচ্ছে। একটি নয়, কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক প্যান্ডেলে এভাবেই প্রতীকী প্রতিবাদ করা হচ্ছে।

বুধবার দেশজুড়ে প্রতীকী অনশনে বসছেন চিকিৎসকেরা। ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এই ডাক দিয়েছে। দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে এই প্রতীকী অনশন করবেন চিকিৎসকেরা।

অনশন মঞ্চের সামনে বহু মানুষ ভিড় করছেন। দিন-রাত তারা স্লোগান দিচ্ছেন বিচারের দাবিতে। এদিকে মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ৯০ শতাংশ কাজের যে আশ্বাস দিয়েছেন, তা যুক্তিসংগত বলে তাদের মনে হচ্ছে না।