বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকা চায় আরসিবিসি
১২ মার্চ ২০১৯এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন ১৯ লাখ ডলারও দাবি করেছে আরসিবিসি৷
ফিলিপাইন্সের রাজধানী ম্যানিলার মাকাতি শহরের আঞ্চলিক আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আরসিবিসি কর্তৃপক্ষ৷
আরসিবিসি দাবি করছে, সাইবার হামলার এই ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে৷ অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘‘মানহানি, হয়রানি ও হুমকি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসির সুনাম, খ্যাতি ও ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনায় নেমেছে৷ উদ্দেশ্য একটাই, আরসিবিসি যাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা পরিশোধ করে৷ যদিও আরসিবিসির কাছে বাংলাদেশের কোনো টাকা পাওনা নেই৷’’ এর ফলে তাদের যে মানহানি হয়েছে তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ কোটি পেসো বা কমপক্ষে ১৯ লাখ ডলার চেয়েছে আরসিবিসি৷ বিষয়টি তারা মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে৷
এদিকে চুরি যাওয়া টাকা ফেরত পেতে গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ এতে আরসিবিসিকে অর্থ আত্মসাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার জন্য দায়ী করা হয়৷ মামলায় বাংলাদেশকে কারিগরি সব ধরণের সহযোগিতা দেয়ার কথা বলেছে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক৷
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অজ্ঞাত হ্যাকাররা নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা ৮.১০ কোটি ডলার চুরি করে৷ এই টাকা তারা ম্যানিলার মাকাতি শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে সরায়৷ অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের মাধ্যমে যা পরে ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়৷ নির্দেশনা সত্ত্বেও আরসিবিসি তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ছাড় করে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ রয়েছে৷ ব্যাংকটির শাখা ব্যাবস্থাপক মায়া দিগুইতোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দেশটির আদালতও৷ গত ১০ জানুয়ারি দেশটির আদালত তাকে ৩২ থেকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড ও ১০.৯ কোটি ডলারের জরিমানা করেছে৷
চুরি যাওয়া ৮.১০ কোটি ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফিলিপাইন্সের কাছ থেকে ১.৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা মূলত দেশটির এক জুয়ার কারবারি ফেরত দিয়েছে৷
এফএস/জেডএ (রয়টার্স, এবিএস-সিবিএন, রেপলার)