উত্তরে গেল দক্ষিণের ট্রেন
৩০ নভেম্বর ২০১৮এই প্রকৌশলীরা দুই কোরিয়ার মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ আগের রেল লাইনগুলো আধুনিক করা হবে৷
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্প্রতি হওয়া সমঝোতার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করতে চায়৷ তাই যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ এবং বাণিজ্যের সুযোগ তৈরির জন্য এই যোগাযোগ জরুরি৷
স্থানীয় টেলিভিশনগুলোর ফুটেজে দেখা গেছে, একটি লাল-সাদা-নীল ট্রেন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ডোরাসান স্টেশন থেকে উত্তরের দিকে রওনা হয়েছে৷ ট্রেনটিতে যে ব্যানার ঝুলছিল, তাতে লেখা ছিল, ‘আয়রন হর্স এখন শান্তি ও উন্নয়নের পথে ছুটছে৷’
গত সেপ্টেম্বরে কিম জং-উন ও মুন জায়-ইনের শীর্ষ বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পুনরায় চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়৷
‘‘এই রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে দুই কোরিয়া আবার এক হবে৷ দুই কোরিয়া একসঙ্গে উন্নয়নের পথে হাঁটবে৷ কোরীয় উপত্যকায় শান্তি জোরদার হবে,’’ এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রী চো মিয়োং-গিয়ন৷
তবে শঙ্কা কাটতে এখনো অনেক দূর যেতে হবে৷ উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে এই সহযোগিতা বেশি দূর এগোবে না৷
ওয়াশিংটন আগেই বলে দিয়েছে যে, তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে, কিন্তু সেজন্য উত্তর কোরিয়াকে প্রমাণ দিতে হবে যে, তারা পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প থেকে সরে এসেছে৷
এদিকে, শুধু রেল নয়, সামরিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে দুই কোরিয়া৷ তারা সীমান্তবর্তী কমপক্ষে ২০টি গার্ডপোস্ট সরিয়ে নিয়েছে৷ সীমান্তে পুঁতে রাখা অনেক বোমাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ এখন সেখানে যৌথভাবে কোরীয় যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের অবশেষ খোঁজা হবে৷
জেডএ/এসিবি (এপি, এএফপি)