উত্তর কোরিয়ার রকেট পরীক্ষা
২৪ আগস্ট ২০১৬তিন প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের পরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি-কে বলতে শোনা গেল, ‘‘চীন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে৷ এ ধরনের কার্যকলাপ কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে৷''
তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী – জাপানের ফুমিও কিশিদা, চীনের ওয়াং য়ি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ুন বিয়ুং-সে – উত্তর কোরিয়াকে প্ররোচনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে পিয়ংইয়াং-এর এই প্ররোচনার কারণ তাঁদের অজ্ঞাত থাকার কথা নয়: ঠিক দু'দিন আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে, পিয়ংইয়াং যাকে উত্তর কোরিয়া অভিযানের প্রস্তুতি বলে গণ্য করে এবং ইতিপূর্বেই পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুমকি দিয়েছে৷
অপরদিকে ওয়াশিংটন ও সৌল যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড' বা টার্মিনাল হাই অল্টিচুড এরিয়া ডিফেন্স প্রণালী বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় গত জুলাই মাসে, তা-তে বেইজিং বিশেষ সন্তুষ্ট নয়৷ চীন এই পদক্ষেপকে প্ররোচনামূলক বলে মনে করে৷
কাজেই বুধবার উত্তর কোরিয়ার রকেট নিক্ষেপে আশ্চর্য হবার মতো কিছু ছিল না – যদি না রকেটটি একটি ডুবোজাহাজ থেকে ছোঁড়া হত৷ এই ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইলে মিনিয়েচারাইজড নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বা ছোট আকারের আণবিক বোমা বসানো সম্ভব৷ ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের দিকে ৫০০ কিলোমিটার উড়ে যায় ও জাপানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন অবধি পৌঁছায়৷
দক্ষিণ কোরিয়ার ইওনহাপ সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে যে, রকেটটি খাড়াভাবে ছোঁড়া হয়েছিল – আরেকটু সমান্তরাল করে ছোঁড়া হলে, তা এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারত৷ দক্ষিণ কোরিয়ার রকেট প্রযুক্তি যে লক্ষণীয় প্রগতি করেছে, তা এই রকেট লঞ্চ থেকে স্পষ্ট, পশ্চিমের বহু বিশেষজ্ঞ ও পত্র-পত্রিকা যে মন্তব্য করেছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন যে, উত্তর কোরিয়ার ‘‘এসএলবিএম (সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল) প্রযুক্তি প্রগতি করেছে বলে মনে হচ্ছে৷''
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)