1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশউজবেকিস্তান

উজবেকিস্তানে সোনার খনিতে কাজের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ

১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বের শীর্ষ ১০ সোনা উত্তোলনকারী দেশের মধ্যে একটি উজবেকিস্তান৷ বছরে ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদন করে দেশটি৷ ২০২৩ সালে আট বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা রপ্তানি করেছিল উজবেকিস্তান৷

https://p.dw.com/p/4o0rq
সোনা উত্তোলনের জন্য খনি খনন করা হয় নানা দেশে৷
প্রতীকী ছবিছবি: Gustavo Basso/DW

বছর পাঁচেক আগে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের খননকাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ তবে সেগুলোর কাজের পরিবেশ নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে৷

বেসরকারি খনিগুলো গোপনভাবে চলে৷ কী পরিমাণ সোনা তোলা হচ্ছে, কত লাভ হচ্ছে, তা নিয়ে কেউ কথা বলে না৷ 

স্বর্ণের খনিতে পরিবেশের ক্ষতি

উত্তোলিত সোনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি কিংবা অলংকার ব্যবসায়ীদের কাছে বাজারদরে বিক্রি করা হয়৷

রাষ্ট্রীয়ভাবে যত সোনা উত্তোলন করা হয়, বেসরকারিভাবে তত করা হয় না৷

বিশ্বের অন্যতম বড় সোনার সংগ্রহ রয়েছে উজবেকিস্তানের মুরুনতাও-এ৷ ২০২২ সালে সেখানে ৫০ টনের বেশি সোনা পাওয়া গিয়েছিল৷

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মুরুনতাও খনিতে সাড়ে চার হাজার টনের বেশি সোনা আছে৷ বছরে ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদন করে উজবেকিস্তান৷ ফলে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সোনা উত্তোলনকারী দেশের মধ্যে এটি একটি৷ ২০২৩ সালে আট বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা রপ্তানি করেছিল উজবেকিস্তান৷

তবে উজবেকিস্তানের সোনা শিল্পের একটি কালো অধ্যায় আছে- অবৈধ খনন৷ এসব খনির অবস্থান সম্পর্কে জানানো হয় না৷

অলংকার ব্যবসায়ী ম্যাগোমেদ ইব্রায়েভ বলেন, ‘‘মানুষ মারা যায় কারণ খনির অবস্থান গোপন রাখার জন্য তারা অনেক গভীরে টানেল খোঁড়ে৷ খনন করার যন্ত্রের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তাই তারা ভূগর্ভস্থ জেনারেটর ব্যবহার করেন৷ এগুলো পেট্রোলে চলে, আর তাদের ধোঁয়ায় আশপাশের পরিবেশ ছেয়ে যায়৷ তখন দম বন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়৷ অবৈধ খনি থেকে লাভ হলেও অনেক মানুষ মারা যান, এবং তার জন্য কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না৷''

আলেকজান্ডার প্রোকোপেঙ্কো/জেডএইচ