ঈদের জামাতে করোনা মুক্তির মোনাজাত
১৪ মে ২০২১সেখানে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান৷ নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়৷ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়৷ বালা মুসিবত থেকে দেশের সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে৷
নামাজের আগে মসজিদের মাইকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নিতে বলা হয় এবং বিভিন্ন বয়ান, ও হাদিস শোনানো হয়৷ মহামারির মধ্যে গতবছরের দুই ঈদের মতো এবারও ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷
সবাইকে বাসা থেকে ওজু করে মাস্ক পরে মসজিদে যেতে বলা হয়েছে৷ নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানোতে নিষেধ ছিল, তবে ব্যতিক্রমও দেখা গেছে৷ বায়তুল মোকারমের বাইরে ছিল নামাজে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন৷ ঈদ জামাতে শিশু ও বৃদ্ধদের অংশ না নিতে বলা হলেও অনেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের নামাজে গিয়েছেন৷ প্রবীণদেরও নামাজ পড়তে দেখা গেছে৷
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না দেখতে মসজিদের প্রবেশ পথে পুলিশ ছিল৷ মসজিদে ঢোকার সময় সবার মুখে মাস্ক থাকলেও নামাজ শেষে মোনাজাতের সময় কারো কারো মুখেমাস্ক দেখা যায়নি৷
বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ পড়েন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস৷
মেয়র ফজলে নূর তাপস ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যারা ঈদ করতে ঢাকার বাইরে গিয়েছেন, তারা যেন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় না আসেন৷
নিরাপত্তা জন্য বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবের গাড়িও ছিল৷ পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুরো এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় প্রথম জামাতের পর আরো চারটি জামাতের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন৷ এছাড়া পাড়া-মহল্লার সব মসজিদেই নিজেদের নির্ধারিত সময়ে ঈদ জামাতে অংশ নিচ্ছেন নগরীর মুসলমানরা৷
দেশে ঈদের প্রধান জামাতটি হয় ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে৷ সেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই জামাতে নামাজ পড়েন৷ মহামারির কারণে গতবছরের মতো এবারও তা করা যায়নি৷
এ বছর ধর্ম মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত হয়নি৷
রোজার পুরোটা সময় দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ থাকায় সবাইকে যার যার কর্মস্থলের এলাকায় থেকে ঈদ উদযাপনের আহ্বান ছিল সরকারের তরফ থেকে৷
বাংলাদেশে ঈদের আগের দিনও মহামারি করোনা কেড়ে নিয়েছে ৩১টি প্রাণ৷ এ পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে মোট ১২ হাজার ৭৬ জনের৷ সরকারি হিসেবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৭ জন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)