শ্রমিকদের বেতন, উৎসবভাতা
১৫ জুলাই ২০১৪তবে মন্ত্রী এবং পোশাক কারাখানার মালিকদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ফাঁক আছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা৷ তাঁরা মনে করেন এতে ঈদের আগে পোশাক কারখানায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে৷
প্রতিবছরই ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন, ভাতা ও বোনাস নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়, দেখা দেয় শ্রমিক অসন্তোষ৷ এবারও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা পোশাক কারখানায় ঈদের আগে শ্রমিক অসন্তোষ হতে পারে বলে আগাম প্রতিবেদন দেয় সরকারের কাছে৷
এ ধরণের পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য মঙ্গলবার শ্রম মন্ত্রণালয়ে পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়৷ বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, ‘‘জুন মাসের বেতন ইতিমধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে৷ জুলাই মাসের বেতনের অংশ ২৬ তারিখের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘শ্রম আইনে উৎসবভাতার কথা বলা নাই৷ কিন্তু মালিকেরা ঐতিহ্যগতভাবে তা দিয়ে আসছেন৷ এজন্য তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী একই সময়ের মধ্যে এবারও তা দিতে বলা হয়েছে৷''
শ্রমিকরা পুরো মাসের বেতন পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামর্থ্য অনুযায়ী মালিকরা ২০ দিন বা এক মাসের বেতন দেবেন৷
এদিকে, বৈঠকে উপস্থিত বিকেএমইএ'র সহ-সভাপতি মো. হাশেম পুরো মাসের বেতনের নিশ্চয়তা দেনননি৷
মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বৈঠকে মালিকপক্ষ এবং প্রতিমন্ত্রীর কথায় কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে৷ শ্রম আইনে উৎসব বোনাসের বিধান নাই বলে মালিকদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘শ্রম আইনে লিখিতভাবে না থাকলেও উৎসবভাতা দেয়া একটি প্রতিষ্ঠিত নিয়ম৷ এটা কোনো দয়ার বিষয় নয়৷ মালিকদের অবশ্যই একমাসের বেতন উৎসবভাতা হিসেবে শ্রমিকদের দিতে হবে৷'' তিনি জানান, ‘‘বৈঠকে তাঁরা ঈদের আগে চলতি জুলাই মাসের পুরো বেতন দাবি করলেও মালিকরা ১৫ দিনের বেশি বেতন দিতে রাজি হননি৷'' তিনি বলেন নতুন আইনে অবশ্যই উৎসবভাতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷
সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে মালিকরা জুন মাসের বেতন দেয়া হয়েছে দাবি করলেও এখনো অনেক পোশাক করাখানায় জুন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি৷