জঙ্গিবিরোধী সতর্কতা বাড়ছে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ইসলামিক স্টেট-এ যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করায় এক কিশোরীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ৷ মালয়েশিয়ান পুলিশের চিফ ইনস্পেক্টর জেনারেল খালিদ আবু বাকার জানিয়েছেন, ১৪ বছর বয়সি মেয়েটি ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এ যোগ দেয়ার জন্য সিরিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন মালয়েশিয়ান সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করছে৷
ইসলামি জঙ্গি তৎপরতা অনেক দেশেই প্রকট রূপ নিয়েছে৷ কয়েকদিন আগে লিবিয়ায় ২১জন মিশরীয়কে পুড়িয়ে মারার ভিডিও প্রচার করে আইএস-এর লিবীয় শাখা৷ এরপরই লিবিয়ায় আইএস-এর ঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমান থেকে বোমা হামলা চালায় মিশর৷ মিশর মনে করে এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি হামলা চালিয়ে লিবিয়াতেও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা আইএস জঙ্গিদের প্রতিহত করা যাবেনা৷ তাই মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি জাতিসংঘের প্রতি লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এখন আর আর কোনো বিকল্প নেই৷’’
চার বছর আগে জাতিসংঘের সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই তখনকার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করা হয়েছিল৷ তবে চার বছরে লিবিয়ায় গণতন্ত্র সুসংহত হয়নি৷ বরং জঙ্গিবাদের উত্থানের আশঙ্কাই বাড়ছে সেখানে৷
এদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির আহ্বানে আরব দেশগুলোর কুটনীতিকরা সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে৷ তবে কুটনীতিকরা বলছেন, জাতিসংঘের সামরিক অভিযানে লিবিয়ার বর্তমান সরকারের সমর্থন থাকা দরকার৷
টিউনিশিয়াতেও ঘটেছে জঙ্গি হামলার ঘটনা৷ মঙ্গলবার আলেজিরিয়ায় সীমান্তবর্তী শহর কাসেরিনে চার পুলিশকে গুলি করে হত্যা করে ইসলামী জঙ্গিরা৷
সবচেয়ে বড় হত্যা যজ্ঞের খবর এসেছে ইরাক থেকে৷ বিবিসি অনলাইনে পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ইরাকের বাগদাদিতে ৪৫ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে আইএস৷ ইরাকের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, নিহতরা ইরাক সামরিক বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
এসিবি/এসবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স, বিবিসি অনলাইন)