ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
১২ আগস্ট ২০২১মে মাসে ১১ দিন ধরে লড়াই হয়েছিল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সেনার৷ তার দুই মাস বাদে রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ যেখানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি 'যুদ্ধাপরাধ' বা 'ওয়ার ক্রাইমে'র অভিযোগ তোলা হলো৷ হামাসের বিরুদ্ধেও অবশ্য একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে৷ সংস্থাটি জানিয়েছে, আগস্টে হামাসের বিষয়ে একটি আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে৷
জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে প্রথম গোলমাল শুরু হয় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে৷ সে সময় গাজা স্ট্রিপে একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী৷ ইসরায়েলের সেই বিমান হামলা নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে৷ হামলায় গাজা স্ট্রিপে অবস্থিত সংবাদ সংস্থার ভবনও সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে ইসরায়েলের অন্তত তিনটি বিমান হামলায় ৬২জন সাধারণ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে৷ যুদ্ধের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷
মানবাধিকার সংস্থাটির প্রশ্ন, কেন ওই নিরপরাধ মানুষদের উপর আক্রমণ চালানো হলো? সংঘাতের গোড়া থেকেই ইসরায়েল দাবি করছিল, গাজা স্ট্রিপে শুধুমাত্র হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই তারা আক্রমণ চালাচ্ছে৷ এমনকী, সংবাদ সংস্থার ভবনটিও হামাসের ঘাঁটি বলে তারা দাবি করেছিল৷ কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনটির বক্তব্য, অন্তত তিনটি বিমান হামলা শুধুমাত্র জনবসতির উপর হয়েছে৷ সেখানে কোনো হামাসের ঘাঁটি ছিল না৷ লোকালয়ে ওই হামলার ফলে ৬২ জনের মৃত্যু হয়৷ তার মধ্যে নারী এবং শিশুও আছে৷
পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে সংস্থাটি৷ তাদের বক্তব্য, ওই ১১ দিনে ইসরায়েলের জনবসতি লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছিল হামাস৷ যার ফলে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন৷ আয়রন ডোম থাকায় বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে৷ তবে হামাস নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট অগাস্টে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷
মানবাধিকার সংগঠনটির অন্যতম কর্মকর্তা গেরি সিম্পসন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ''ইসরায়েলের আক্রমণে গাজা স্ট্রিপে বহু অসহায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ যুদ্ধের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই৷ এটা শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ৷''
ইসরায়েল এবং হামাস কোনো পক্ষই এখনো পর্যন্ত সাম্প্রতিক রিপোর্টটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷ তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত যাবে৷
এসজি/এসি (এএফপি)