ইসরায়েলে ২৫০টি রকেট ছুঁড়লো হিজবুল্লা

রোববার ইসরায়েলের সেনা সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, লেবাননের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত থেকে হিজবুল্লা ইসরায়েল লক্ষ্য করে অন্তত ২৫০টি রকেট ছুঁড়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি রকেট রাজধানী তেল আভিভে গিয়ে পড়ছে। ইসরায়েলের সেনার দাবি, এগুলি প্রজেক্টাইল রকেট। অর্থাৎ, নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে গিয়ে পৌছায় এই ধরনের রকেট।

ইসরায়েলের দাবি, হিজবুল্লার এই হামলায় অন্তত সাতজন আঘাত পেয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। রকেটের শার্পনেলে তারা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের সেনার দাবি, অধিকাংশ রকেটই আগে থেকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে মধ্য ইসরায়েলে কিছু রকেট ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। বহু ঘর ভেঙে পড়েছে। তবে আগে থেকেই সতর্ক করে দেওয়ার কারণে জীবনহানির ঘটনা ঘটেনি। মানুষ বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

লাগাতার লড়াই

ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ চালানোর পরেই সরব হয় হিজবুল্লা। গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলে সরাসরি রকেট হামলা চালায় তারা। এরপর ইসরায়েল লেবাননে ঢুকে সরাসরি হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু। হিজবুল্লাও পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছিল। তবে রোববারের আক্রমণ এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড়।

সিরিয়াকে যুদ্ধের বাইরে রাখতে হবে

রোববার জাতিসংঘের একটি গোষ্ঠী জানিয়েছে, চলতি লড়াই থেকে সিরিয়াকে যেভাবেই হোক বাইরে রাখতে হবে। ২০১১ সাল থেকে সেখানে গৃহযুদ্ধ চলছে। যার জেরে দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা ভয়াবহ। মানুষ কার্যত অনাহারের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরেকটি নতুন লড়াইয়ে ঢোকার পরিস্থিতি সেখানে নেই।

ইসরায়েল একাধিকবার সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননে হিজবুল্লার সঙ্গে লড়াই শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল সিরিয়ায় আক্রমণ আরো জোরদার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কা থেকেই জাতিসংঘের এই বিবৃতি। তারা বলেছে, গাজায় যত দ্রুত সম্ভব সংঘর্ষ-বিরতি হওয়া প্রয়োজন। লেবাননেও সংঘর্ষ-বিরতি প্রয়োজন। আর যে করেই হোক সিরিয়াকে এই লড়াই থেকে বাইরে রাখতে হবে। কোনোভাবেই তাকে যুদ্ধে জড়ানো যাবে না।

আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে সরব ইসরায়েল

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি সেখানে এক মলডোভা এবং ইসরায়েলের নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। আমিরাতকে দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। বস্তুত, দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ''এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। দ্রুত আমিরাতকে দোষীদের গ্রেপ্তার করে চরম শাস্তি দিতে হবে।'' উল্লেখ্য, আমিরাতের পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে।

২৮ বছরের ওই ব্যক্তির মৃতদেহও চেয়ে পাঠিয়েছে ইসরায়েল। রয়টার্সকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ''আমরা দেহ চেয়ে পাঠিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমিরাত কোনো সদুত্তর দেয়নি।''

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)