ইসরায়েলে ম্যার্কেল
১১ অক্টোবর ২০২১নির্বাচন হয়ে গেছে। জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। সেই সরকার তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত আঙ্গেলা ম্যার্কেলই জার্মানির কেয়ারটেকার সরকার চালাচ্ছেন। চ্যান্সেলর হিসেবে শেষবার তিনি ইসরায়েল সফর করলেন। কথা ললেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে।
বেনেটের উপস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে ম্যার্কেল বলেছেন, ''জার্মানির কাছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।'' তার বক্তব্য, ইহুদিদের সঙ্গে অতীতে যা ঘটেছে তার জন্য জার্মানি এখনো দুঃখিত। কিন্তু এখন জার্মানিতে ইহুদিরা শান্তিতে বসবাস করতে পারেন। অতীত ইতিহাস ভুলে জার্মানি এবং ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সেই বন্ধুত্ব কীভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়েছে বলে ম্যার্কেল জানিয়েছেন।
বেনেটও দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ম্যার্কেলকে। ১৬ বছরের চ্যান্সেলর জীবনে আটবার ইসরায়েল সফর করেছেন ম্যার্কেল। এটাই চ্যান্সেলর হিসেবে তার শেষ সফর।
এদিন জেরুসালেমে হলোকাস্ট মিউজিয়ামেও যান ম্যার্কেল। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি দেখা করেননি। ফিলিস্তিনের প্রশাসকদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন না তিনি।
এদিন ইসরায়েলেই ইরান নিয়ে একাধিক কথা বলেন ম্যার্কেল। তার বক্তব্য, ইরান পরমাণু চুক্তিতে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যত দ্রুত তা সম্ভব হয়, ততই মঙ্গল। এর জন্য রাশিয়া এবং চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিনই জাতিসংঘ একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, ইরান আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করে ফেলেছে। ইরান অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, পরমাণু চুক্তিতে নতুন করে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তারা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)