1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারায় কারাদণ্ড

২২ মার্চ ২০১৮

ফিলিস্তিনের কিশোরী আহেদ তামিমির ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসরায়েলের আদালত৷ ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের প্রতীক তামিমি আদালতে নিজোর ‘অপরাধ’ স্বীকার করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2um5g
ছবি: Reuters/A. Awad

ফিলিস্তিনের ১৭ বছরের সেই কিশোরীর কথা মনে আছে? গত বছরের ডিসেম্বরে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি দুই সেনাকে চড় মেরে যিনি ‘ফিলিস্তিনিদের বীর’ হয়ে উঠেছিলেন? বুধবার ইসরায়েলের আইনজীবীরা সেই কিশোরী আহেদ তামিমিকে আট মাসের কারাদণ্ড দেন৷

২৯শে ডিসেম্বর জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করার প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ করছিল ফিলিস্তিনিরা৷ এ সময় ফিলিস্তিনের সমাজকর্মী তামিমির পরিবারের এক সদস্যের মাথায় গুলি করে ইসরায়েলি সেনারা৷ এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু'জন ইসরায়েলি সেনাকে কয়েক দফায় চড় দেন তামিমি৷ এর থেকে ফিলিস্তিনিদের মাঝে তিনি ‘ফিলিস্তিনিদের বীর’ হিসেবে পরিচিত৷

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, তামিমি প্রথমে দুই ইসরায়েলি সেনাকে তাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলে৷ তারপরও তারা না সরলে ধাক্কা দেয় ঐ সেনাদের, চড় মারে এবং লাথি দেয়৷ তখন ঐ দুই সেনা সরে যায়৷ তামিমির আইনজীবী জানান, ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে তামিমির বিরুদ্ধে, এর মধ্যে চারটি অভিযোগ মেনে নিয়েছে সে৷ কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১ হাজার ৪৩৯ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে৷ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে তামিমির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ গত তিন মাস জেলখানায় থাকায় তাকে আর ৫ মাস কারাভোগ করতে হবে৷

তামিমির মা এবং চাচাতো ভাই নূরকেও আট মাস ১৬ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ তাঁদেরও জরিমানা করা হয়েছে৷ প্রতিবছর শত শত ফিলিস্তিনি তরুণ-তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা এবং তাদেরকে সামরিক কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়৷ তাদের প্রায় সবাইকেই দণ্ড ভোগ করতে হয়৷ আবেদন করে এখনও পর্যন্ত কেউ সফল হয়নি৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)