ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ-বিরতি এখনো বিশ বাঁও জলে
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ-বিরতির আলোচনা এখনো কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারেনি। ইসরায়েল স্থায়ী সংঘর্ষ-বিরতিতে যেতে নারাজ। আবার হামাস চায় ইসরায়েলকে স্থায়ী সংঘর্ষ-বিরতিতে যেতে হবে। ইসরায়েল সমস্ত পণবন্দির মুক্তি চায়। হামাসের বক্তব্য, সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু নেতানিয়াহু এখনো এই বক্তব্য মেনে নেননি।
সংঘাত বিষয়ক একটি সংস্থার প্রধান অলিভার ম্যাকটারনান। ডিডাব্লিউকে তিনি জানিয়েছেন, ''প্যারিসে যে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারেনি। বস্তুত, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে।'' অ্যামেরিকা, কাতার, মিশর এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হামাসকে পাঠানো হয়েছিল। সাময়িক সংঘর্ষ-বিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তির দাবি ছিল সেই সিদ্ধান্তে। হামাস এখনো পর্যন্ত তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
হামাসের সূত্র অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা সহমত নয়। তাদের দাবিগুলি সামনে এনেছে হামাস। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারে যত ফিলিস্তিনি বন্দি আছে, সকলকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিনিময়ে সমস্ত পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাছাড়া স্থায়ী সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তায় যেতে হবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবশ্য সে পথে হাঁটতে নারাজ। সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দিকে তিনি মুক্তি দিতে চান না। স্থানীয় সংঘর্ষ বিরতির রাস্তাতেও হাঁটতে চায় না ইসরায়েল।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। দুইপক্ষের আলোচনায় তিনিও যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কীভাবে একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়, সেই ব্যবস্থা করতে পারেন ব্লিংকেন।
এদিকে ম্যাকটারনানের বক্তব্য, এখনো পর্যন্ত এই সংঘর্ষ নিয়ে অ্যামেরিকা এক আশ্চর্য ভূমিকা পালন করছে। একদিকে যেমন তারা গাজার সাধারণ মানুষের কথা বলছে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। নেতানিয়াহুকে টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।
ম্যাকটারনানের বক্তব্য, সময় এসেছে, এবার ব্লিকংনেকে বলতে হবে, অনেক হয়েছে আর নয়। ইসরায়েলকে আর অস্ত্র সাহাযঅয করা হবে না। রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া হবে না। যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। গাজার বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু অ্যামেরিকা এখনো সে পথে হাঁটছে না।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)