ইলন মাস্কের স্টারশিপ ভেঙে পড়লো
২১ এপ্রিল ২০২৩স্পেসএক্সের এই স্টারশিপের ইঞ্জিনে ছিল সুপারহেভি বা অত্যন্ত ভারি বুস্টার। এটাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট। ধোঁয়ার ঝড় তুলে এই স্টারশিপ মহাকাশ যাত্রা শুরু করে। উৎক্ষেপণে কোনো ভুলভ্রান্তি ছিল না। স্টারশিপ উঠে যাচ্ছিল উপরের দিকে। মিনিটখানেক পরে স্টারশিপ সবচেয়ে জোরালো এয়ারোডাইনামিক চাপের মধ্যে দিয়ে চলে যায়। যে কোনো রকেটের ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তার একটু পরেই রকেটটি টাল খায়। এরপরই তা বিস্ফোরিত হয়। গালফ অফ মেক্সিকোর উপরে তা আগুনের গোলায় পরিণত হয়। পৃথিবীর কক্ষপথে যেতে পারেনি এই স্টারশিপ।
তবে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন ইলন মাস্কের কোম্পানিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ''ইতিহাস বলে, প্রতিটি মহান প্রাপ্তির ক্ষেত্রেই একটা ঝুঁকি থাকে। কারণ, বড় ঝুঁকি নিলেই বড় প্রাপ্তি হয়।''
ইলন মাস্কের স্পেস এজেন্সি এই মহাকাশযান করেই চাঁদে তিনজন মহাকাশচারীকে নিয়ে যাবে। এই মিশনের নাম আর্টেমিস থ্রি। তার আগে এই পরীক্ষামূলক উড়ান নিয়ে কৌতূহল ছিল প্রচুর। গত সোমবার উৎক্ষেপণের কথা ছিল। সেই যাত্রা পিছিয়ে দেয়া হয়। এই রকেটই একসময় প্রচুর যাত্রী ও বিশাল ওজনের মালপত্র নিয়ে মহাকাশে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে মহাকাশয়ানটি ভেঙে পড়লো তার উচ্চতা ছিল ৩৯৪ ফুট, যা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি থেকেও ৯০ ফুট উঁচু।
তবে এই স্পেসশিপে কোনো মানুষ ছিল না। রকেটের নকশা ঠিক কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। ইলন মাস্ক বলেছেন, ''স্টারশিপের এই পরীক্ষামূলক উড়ানে সাফল্য পেতে হয়ত আরো কয়েকবার চেষ্টা করতে হবে।''
তবে ভেঙে পড়লেও স্টারশিপের এই পরীক্ষা একেবারে ব্যর্থ হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। মিনিট তিনেক রকেটটি উড়েছিল। লঞ্চপ্যাড থেকে যাত্রা সফল ছিল। যেটুকু সময় উড়েছে, তাতে ইঞ্জিনিয়াররা বুঝতে পেরেছেন, রকেটটি কীরকম কাজ করেছে, ত্রুটিই বা কোথায় রয়ে গেছে।
নাসার সাবেক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ডামবাকর বলেছেন, ''কিছু মানুষের মনে হতেই পারে, কিন্তু এটা পরীক্ষা মোটেই ব্যর্থ হয়নি। এটা ছিল একটা প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাওয়া।''
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, নিউ ইয়র্ক টাইমস)