1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হচ্ছে

১৪ আগস্ট ২০১০

নানা সমালোচনা, রক্তচক্ষু এবং বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর কাছ থেকে হুমকি ধামকি পাওয়া ইরান থেমে নেই৷ আগামী সপ্তাহেই তারা প্রথমবারের মত বন্দর নগরী বুশেহরে অবস্থিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিতে আগুন ধরাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/OniK
বুশেহরে শহরে অবস্থিত ইরানের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রছবি: dpa/landov/Montage: DW

এর অর্থ হলো তারা প্রকাশ্যে পরমাণু ব্যবহার শুরু করছে৷ আর এই কাজে তাদের সহায়তা করছে রাশিয়া৷

আসলে ইরান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আড়ালে পরমাণু বোমা তৈরির কাজই করছে- ইরানের প্রতি পশ্চিমা শক্তিগুলো বারবার এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে৷ পশ্চিমা শক্তির এই কথার সঙ্গে অনেকটাই একমত আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা৷ তারা বলছে, পরমাণু উপাদান ব্যবহার করে সামরিক কাজে ব্যবহার করার মতো কিছু জিনিস যে ইরান তৈরি করছে, এ বিষয়ে বেশ কিছু আলামত রয়েছে তাদের কাছে৷ যদিও ইরান বারবারই জানিয়েছ, এটা সবৈব মিথ্যা তথ্য৷ এটা অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এরপর গত জুনে ইরানের প্রতি নতুন করে শক্ত অবরোধ আরোপ করে জাতিসংঘ, অবশ্য প্রথমে রুশ সমর্থন পাওয়া যাবে না বলে ভাবা হলেও পরে এই অবরোধে সম্মতি দিয়েছিল তারা৷ এই অবরোধের কারণে যে বুশেহর পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কোন অসুবিধে হবে না, তা অবশ্য জানিয়েছিল রুশ কর্মকর্তারা৷

Kernkraftwerk Iran
এই ভবনেই পারমাণবিক চুল্লিটি অবস্থিতছবি: picture alliance / abaca

ইরানের পরমাণু সংস্থার প্রধান আলি আকবার সালেহী জানিয়েছেন, পরমানু চুল্লিতে জ্বালানি ভরার এ কাজের সময়ে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার পরিদর্শকদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হবে৷

দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী বুশেহরে পরমাণু জ্বালানিভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে চালু করার কথা জানানো হয়েছিল এ বছরের শুরুতে৷ কিন্তু ঘোষিত সময়ের আগেই এটি চালু হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ, আগামী সপ্তাহে এটি চালু হবে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে৷ এরপর দুই সপ্তাহ থাকে পরীক্ষামূলক এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে৷ বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট তিন হাজার পরমাণু বিশেষজ্ঞ কর্মরত রয়েছেন, এদের বেশীরভাগই রুশ নাগরিক৷ ১৯৯৪ সালে রাশিয়ার সহযোগিতায় বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয় এবং এই কাজ ১৯৯৯ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক