ইরানের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হচ্ছে
১৪ আগস্ট ২০১০এর অর্থ হলো তারা প্রকাশ্যে পরমাণু ব্যবহার শুরু করছে৷ আর এই কাজে তাদের সহায়তা করছে রাশিয়া৷
আসলে ইরান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আড়ালে পরমাণু বোমা তৈরির কাজই করছে- ইরানের প্রতি পশ্চিমা শক্তিগুলো বারবার এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে৷ পশ্চিমা শক্তির এই কথার সঙ্গে অনেকটাই একমত আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা৷ তারা বলছে, পরমাণু উপাদান ব্যবহার করে সামরিক কাজে ব্যবহার করার মতো কিছু জিনিস যে ইরান তৈরি করছে, এ বিষয়ে বেশ কিছু আলামত রয়েছে তাদের কাছে৷ যদিও ইরান বারবারই জানিয়েছ, এটা সবৈব মিথ্যা তথ্য৷ এটা অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এরপর গত জুনে ইরানের প্রতি নতুন করে শক্ত অবরোধ আরোপ করে জাতিসংঘ, অবশ্য প্রথমে রুশ সমর্থন পাওয়া যাবে না বলে ভাবা হলেও পরে এই অবরোধে সম্মতি দিয়েছিল তারা৷ এই অবরোধের কারণে যে বুশেহর পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কোন অসুবিধে হবে না, তা অবশ্য জানিয়েছিল রুশ কর্মকর্তারা৷
ইরানের পরমাণু সংস্থার প্রধান আলি আকবার সালেহী জানিয়েছেন, পরমানু চুল্লিতে জ্বালানি ভরার এ কাজের সময়ে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার পরিদর্শকদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হবে৷
দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী বুশেহরে পরমাণু জ্বালানিভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে চালু করার কথা জানানো হয়েছিল এ বছরের শুরুতে৷ কিন্তু ঘোষিত সময়ের আগেই এটি চালু হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ, আগামী সপ্তাহে এটি চালু হবে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে৷ এরপর দুই সপ্তাহ থাকে পরীক্ষামূলক এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে৷ বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট তিন হাজার পরমাণু বিশেষজ্ঞ কর্মরত রয়েছেন, এদের বেশীরভাগই রুশ নাগরিক৷ ১৯৯৪ সালে রাশিয়ার সহযোগিতায় বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয় এবং এই কাজ ১৯৯৯ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক