ইরানকে না থামালে তেলের দাম অনেক বাড়বে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তেলের দাম অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে যেতে পারে৷
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করেছেন সালমান৷ সেই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছিল৷ ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়৷ সিবিএস টেলিভিশনের ‘সিক্সটি মিনিটস' অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি ইরানকে বাধা দিতে মজবুত এবং বলিষ্ঠ উদ্যোগ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে, যা গোটাবিশ্বের স্বার্থের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে৷''
রবিবার রাতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারটিতে সালমান বলেন, ‘‘তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটবে এবং তেলের দাম এমন এক অকল্পনীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে যা আমরা আমাদের জীবদ্দশায় এখন অবধি দেখিনি৷''
সৌদি আরব ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেনও মনে করে যে, সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলায় ইরান জড়িত, যদিও সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনভিত্তিক হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী৷
তবে সৌদি যুবরাজ এটাও বলেছেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিকের চেয়ে রাজনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিই তিনি বেশি আগ্রহী৷ তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে৷''
সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশগজি হত্যাকাণ্ড নিয়েও কথা বলেছেন সালমান৷ তিনি খাশগজিকে হত্যার নির্দেশ দেননি দাবি করলেও সৌদি নেতা হিসেবে সেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘সেটা ছিল একটি জঘন্য অপরাধ৷ আর সৌদি আরবের একজন নেতা হিসেবে আমি সেই হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি, কেননা, এর সঙ্গে সৌদি সরকারের সদস্যরা জড়িত ছিল৷''
তবে তিনি নিজে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন৷
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সাংবাদিক খাশগজি হত্যার ঘটনায় গোটা বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে৷ মার্কিন কংগ্রেস এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুবরাজ সালমানকে দায়ী করে এবং জাতিসংঘ এক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানায়৷
এআই/এসিবি (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)