1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান: দ্রুত পরমাণু চুক্তি চায় অ্যামেরিকা, জার্মানি

২১ জানুয়ারি ২০২২

দ্রুত আলোচনা সেরে তাড়াতাড়ি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি চায় অ্যামেরিকা ও জার্মানি।

https://p.dw.com/p/45rsl
পশ্চিমা দেশগুলি মনে করছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে ফেলতে পারে। ছবি: Michael Gruber/Getty Images

মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন এখন জার্মানি সফর করছেন। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে আলোচনার পর দুই নেতাই বলেছেন, তারা ইরানের সঙ্গে দ্রুত পরমাণু চুক্তি চান।

ব্লিংকেন জানিয়েছেন, চুক্তি যাতে তাড়াতাড়ি হয়, তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

ব্লিংকেন ও বেয়ারবক কী বলেছেন?

যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, ''বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা পরমাণু চুক্তিতে আবার ফিরতে পারি কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এখন কালক্ষেপ করা উচিত হবে না।''

তার মতে, ''ভিয়েনা আলোচনায় অগ্রগতি খুব বেশি হয়নি। তা সত্ত্বেও এখনো ইরানের সঙ্গে আবার পরমাণু চুক্তি সম্ভব।

পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের জনগণের ভাবনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বইডেনও বুধবার বলেছেন, ''আবার এই চুক্তি করার প্রয়াস থেকে সরে আসা হচ্ছে না।''

বেয়ারবক জানিয়েছেন, ''তাড়াতাড়ি চুক্তি হওয়া জরুরি।'' তবে তার মতে, ''সমাধান পেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে গেছে। আমদের খুবই জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে, আমরা সমাধানে পৌঁছতে পারব না।''

ফ্রান্সের অভিযোগ

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বার্লিনে ছিলেন। তিনি বলেছেন, আলোচনা খুবই ধীর গতিতে এগোচ্ছে। আংশিক সাফল্য এসেছে। এখনই আলোচনার গতি বাড়ানো দরকার।

তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইরানের প্রয়াস। ইরান আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গতি বাড়িয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে।

ভিয়েনায় দুই মাস আগে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আট দফা কথা হয়েছে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইইউ-র কথা হচ্ছে।

অ্যামেরিকা এই আলোচনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আবার চুক্তির নবীকরণ চাইছেন। কিন্তু তিনি ইরানের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলতে চান না। আর ইরানের দাবি, নিষেধাজ্ঞা না তুললে তারা চুক্তিতে ফিরবে না।

জিএওইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)