ইভিএমে নির্বাচন
২৮ জুলাই ২০১২কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের পুরো নির্বাচনই ইভিএম-এর মাধ্যমে হয়েছে৷ এছাড়া আরো দু'টি সিটি কর্পোরেশন আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করে সফল হয়েছে সাবেক নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর, ইভিএম-এর আর কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছেনা৷ রাজনৈতিক দলগুলোও গত ছয় মাস ধরে ইভিএম নিয়ে আর তর্ক-বিতর্ক করছেনা৷ নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, তারা এই মূহূর্তে ইভিএম নিয়ে তেমন ভাবছেন না৷ কারণ ভোটার তালিকা হাল নাগাদসহ আরো অনেক কাজ তাদের সামনে৷ আর ইভিএম-এর জন্য আইন লাগবে৷ প্রয়োজন পড়বে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত৷
ইভিএম-এর উদ্ভাবক বুয়েট'এর অধ্যাপক ড. লুৎফুল কবির জানান, জাতীয় নির্বাচন ইভিএম-এর মাধ্যমে করতে হলে আড়াই লাখ ইভিএম লাগবে৷ আর জাতীয় নির্বাচন হবে দেড় বছর পর বা তার আগে৷ এই সময়ের মধ্যে পুরো বাংলাদেশে ইভিএম-এ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, গত ছ'মাসে নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি৷ ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনও হবে প্রচলিত ব্যালট বাক্স আর ব্যালট পেপার দিয়ে৷
এদিকে আদমশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নিধারণ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ এ নিয়ে দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কিমশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ