1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইভ টিজিং: ৮ মাসে ২০ জনের আত্মহত্যা

২৬ অক্টোবর ২০১০

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে ইভ টিজিংয়ের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২০ জন তরুণী৷ আর ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করেতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন অনেকে৷ সর্বশেষ প্রাণ দিলেন নাটোরের প্রতিবাদকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান৷

https://p.dw.com/p/Pnws
pupils, parents, teachers, school, ইভ টিজিং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
ফাইল ছবিছবি: AP

দেশে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে৷ স্কুল বা কলেজের আসা-যাওয়ার পথে বখাটেদের উৎপাতের শিকার হয় নারী শিক্ষার্থীরা৷ এক্ষেত্রে নিজেদের একেবারেই নিরাপদ মনে করেন না ১০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী৷

মহিলা পরিষদের তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটেছে ৭৮টি৷ এবছর আগস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৩টিতে৷ গত বছরের তুলনায় এর গড় বেড়েছে ৩৯.৬ ভাগ হারে৷ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে মূল্যবোধের অবক্ষয়ই এর প্রধান কারণ৷

ইভ টিজিংয়ের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র বা সামাজিক সংগঠনগুলো বেশ সোচ্চার৷ তারপরও আইনগতভাবে নির্ধারিত হয়নি ইভ টিজিংয়ের সংজ্ঞা৷ বর্তমান পেনাল কোডে এর শাস্তি মাত্র এক বছর৷ বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-এর আইন বিশেষজ্ঞ ফরিদা ইয়াসমীন জানান, ইভ টিজিংয়ের শিকার কেউ আত্মহত্যা করলে অপরাধীর শাস্তি কি হবে তা স্পষ্ট নয় আইনে৷ তিনি এজন্য আইনের সংস্কার এবং আরো কঠোর করার কথা বলেন৷

ইভ টিজিংকে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁরা ইভ টিজিং রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতার পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক কাউন্সেলিং সেন্টার গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান