ইভ টিজিং: ৮ মাসে ২০ জনের আত্মহত্যা
২৬ অক্টোবর ২০১০দেশে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে৷ স্কুল বা কলেজের আসা-যাওয়ার পথে বখাটেদের উৎপাতের শিকার হয় নারী শিক্ষার্থীরা৷ এক্ষেত্রে নিজেদের একেবারেই নিরাপদ মনে করেন না ১০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী৷
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটেছে ৭৮টি৷ এবছর আগস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৩টিতে৷ গত বছরের তুলনায় এর গড় বেড়েছে ৩৯.৬ ভাগ হারে৷ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে মূল্যবোধের অবক্ষয়ই এর প্রধান কারণ৷
ইভ টিজিংয়ের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র বা সামাজিক সংগঠনগুলো বেশ সোচ্চার৷ তারপরও আইনগতভাবে নির্ধারিত হয়নি ইভ টিজিংয়ের সংজ্ঞা৷ বর্তমান পেনাল কোডে এর শাস্তি মাত্র এক বছর৷ বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-এর আইন বিশেষজ্ঞ ফরিদা ইয়াসমীন জানান, ইভ টিজিংয়ের শিকার কেউ আত্মহত্যা করলে অপরাধীর শাস্তি কি হবে তা স্পষ্ট নয় আইনে৷ তিনি এজন্য আইনের সংস্কার এবং আরো কঠোর করার কথা বলেন৷
ইভ টিজিংকে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁরা ইভ টিজিং রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতার পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক কাউন্সেলিং সেন্টার গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই