ইন্টারনেটের যুগে
৩১ মে ২০১৪এ বছর সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ২৭০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে৷ তাঁদের মধ্যে আবার একটা বড় সংখ্যা তাঁদের মোবাইল ফোনেই এখন ইন্টারনেট পাচ্ছেন৷
গত কয়েক বছরের মধ্যে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ইন্টারনেটকে তথ্য ও খবরাখবর পাবার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম করে তুলেছে৷
এ বছর আরো একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে: ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে যারা খবর পান, তাঁদের সংখ্যা টেলিভিশনে যাঁরা খবর দেখেন, তাঁদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে৷
এই প্রবণতা কমার কোনো লক্ষণ নেই৷ বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের এ প্রত্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে যে, ইন্টারনেটই তাঁদের ভবিষ্যৎ, পেশাগতভাবে ও ব্যক্তিগত জীবনে৷
অনলাইন ড্যাটা বেস এখন বইয়ের স্থান নিচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা গোটা প্রক্রিয়াটিকে ‘কমিউনিকেশনস রেভোলিউশন' বা যোগাযোগ বিপ্লব বলে অভিহিত করছেন৷
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টোমাস ব্যাশলে বলেন: ‘‘বিগত কয়েক বছরে আমরা অবিশ্বাস্য পরিবর্তন দেখেছি, বিশেষ করে সমাজ এবং ব্যক্তিবর্গের যৌথ ও ব্যক্তিগত সত্তার ক্ষেত্রে৷ আমরা দেখেছি কিভাবে সম্পূর্ণ পৃথক একক ব্যক্তিরা কোনো একটি বিষয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন, আবার নিজেদের নিয়েও চিন্তা করছেন ও বিভিন্ন পন্থায় তা বর্ণনা করছেন৷''
সংবাদপত্রের মতো প্রথাগত গণযোগাযোগ মাধ্যমের আজ বিক্রি কমে আসছে, কেননা ইন্টারনেটে খবরাখবর ও তথ্যের প্রবাহের কোনো অন্ত নেই, বিরাম নেই৷ এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য টেলিভিশন নির্মাতারা ইতিমধ্যেই স্মার্ট টিভি সেট বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন, যার স্ক্রিনেই ইন্টারনেট দেখা যায়৷ অপরদিকে মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের উপর জোর দিচ্ছেন৷ ডয়চে ভেলের নিউ মিডিয়া বিভাগের প্রধান রিচার্ড মায়ার বলেন:
‘‘যখন টেলিভিশনের জন্য একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়, তখন মনে রাখতে হয় যে, তা শুধু প্রথাগত টেলিভিশনের জন্যেই নয়, সেই রিপোর্ট আপলোড করা হবে, তার অপর একটি সংস্করণ অনলাইনে প্রকাশিত হবে৷ হয়ত কয়েকটি ছবি যোগ করা হবে৷ এর অর্থ, পুরো রিপোর্টটির প্রযোজনা সূচনা থেকেই মাল্টিমিডিয়াল হতে হবে৷ গোড়া থেকেই মনে রাখতে হবে যে, রিপোর্টটা প্রথাগত টিভি কিংবা স্মার্ট টিভি ছাড়া স্মার্টফোনেও দেখা হবে৷''