1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেট লিটারেসি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

রেজওয়ান ইসলাম
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৩৭ হাজার নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যোগ হচ্ছে৷ নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে ইন্টারনেট বলতে ফেসবুক, কথা বলতে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ও বিনোদন বলতে ইউটিউব৷

https://p.dw.com/p/35LKw
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Hirschberger

অনেকক্ষেত্রে তারা বাংলা নাটক ও সংগীত সংগ্রহ করে ফোনে দেখছে বা শুনছে৷ এছাড়াও ইন্টারনেটকে তারা মত প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করছে৷ একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে তারা এসব ব্যবহার নিজে নিজেই শিখছে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায়৷ কারণ বাংলাদেশ ইন্টারনেট লিটারেসি বা সঠিক প্রশিক্ষণের কোনো সুবিধা এখনো গড়ে ওঠেনি৷

ইন্টারনেট লিটারেসি

ইন্টারনেটের সুফল কুফল নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে৷ দেশের এত লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু কজন এর ঝুঁকি, নৈতিকতা, এ সংক্রান্ত আইন ইত্যাদি সম্পর্কে জানে? শুধুমাত্র মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অপরাধে সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় অনেক ছাত্রছাত্রীকে জেলে যেতে হয়েছে৷ ইন্টারনেটে হয়রানি, রিপোর্ট করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা, যুবসমাজের উপর পর্ণোগ্রাফির করাল গ্রাস এবং গালাগালি ও অশ্লীল প্রদর্শন ইত্যাদি অপব্যবহারের নিদর্শন প্রচুর৷ বাংলাদেশ ইন্টারনেট লিটারেসি বা জ্ঞানের ব্যপারটি প্রথম থেকেই গুরুত্ব সহকারে নিলে হয়ত পরিস্থিতি অন্য রকম হতো৷

আমেরিকার মিনিস্ট্রি অফ ইন্টার্নাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন্টারনেট লিটারেসিকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে – ইন্টারনেট জ্ঞান হচ্ছে সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের সক্ষমতা এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে: ১) ইন্টারনেটে অবৈধ এবং ক্ষতিকারক বিষয়গুলি কোনগুলো তা বোঝা ও তা থেকে দুরে থাকার ক্ষমতা, ২) ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঠিকভাবে এবং অপরকে সম্মান করে যোগাযোগ করার ক্ষমতা এবং ৩) নিজের বা নিজের অ্যাকাউন্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদি গোপন রাখা এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা করা৷

ইন্টারনেট হচ্ছে ছুরির মতো৷ অর্থাৎ এর অনেক ভালো ব্যবহার করা যায় আবার খারাপ ব্যবহারও করা যায়৷ বিশ্বের অনেক দেশ ইন্টারনেট শিক্ষাকে স্কুলের কার্যক্রমে ঢুকিয়ে এই জ্ঞান মাধ্যমিক স্তর থেকেই দেয়া শুরু হয় যাতে এর সঠিক ব্যবহার করা যায়৷ ডিজিটাল দায়িত্বশীলতা শেখায় কিভাবে গুজব বা অসত্য তথ্য চিহ্নিত করে পরিহার করা যায়, অপরের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলা যায় এবং নিজের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যায়৷ তাঁদের শেখানো হয় ইন্টারনেটের নৈতিকতা – অপরের ছবি বা তথ্য ব্যবহার করার সময় তাঁদের অনুমতি নেয়া এবং উৎসের নাম উল্লেখ করা – দেশের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে জানা এবং আইন লঙ্ঘন না করা ইত্যাদি৷ এছাড়াও সাইবারবুলিইং বা ডিজিটাল হয়রানি কীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে এবং কোন সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্য চাইতে হবে, সেটাও শেখানো হয়৷

উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন গাইড বা ভিডিওর মাধ্যমে ইন্টারনেটের এইসব বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণের সুযোগ আছে৷ আমাদের দেশে মূল সমস্যা হচ্ছে বাংলা কন্টেন্টের অভাব৷ আমাদের জনসংখ্যার বেশীর ভাগ মানুষই বাংলায় লেখাপড়ায় বেশি স্বচ্ছন্দ৷ কিন্তু ইন্টারনেটে প্রাপ্ত অধিকাংশ বিষয়বস্তু – তা টেক্সট, ভিডিও বা অডিও হোক ইংরেজি ভাষায় উপলব্ধ৷ বিপুল পরিমাণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কথা বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্টগুলোর বাংলা সংস্করণ থাকা জরুরি – কিন্তু এ বিষয়ে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ বা মনোযোগ কম৷ তাই এখনো অনেক দূর যেতে হবে একটি বাংলাভাষী ইন্টারনেট জ্ঞানভাণ্ডারের জন্য৷

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়লেও ইন্টারনেটের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পেছনে৷ এর অন্যতম মূল কারণ ইন্টারনেট এর অযাচিত ব্যবহার প্রতিরোধে দেশের কিছু বিতর্কিত আইন, যেমন তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি আইন ২০১৩ এর ৫৭ ধারা যেখানে ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ হলে ১৪ বছর কারাদণ্ডে এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ এই ধারাটি অজামিনযোগ্য এবং পুলিশ চাইলেই যে কোনো সময় যেকাউকে এই ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে গ্রেপ্তার করতে পারবে৷ তাই অনেকে একে ভিন্নমত দমনের জন্য একটি অস্ত্র হিসেবে দেখেন৷ বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে বর্তমান সরকার এই আইন বাতিল করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন

এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস করা হয়েছে৷ বলা হয়েছিল এই নতুন আইন আসলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে৷ তবে এই নতুন আইনে ৫৭ ধারার বিতর্কিত বিষয়গুলোকেই চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে৷ আরও এই আইনে ঢোকানো হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট' – যা ব্যবহার করে সম্প্রতি মায়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যার উপর রিপোর্ট করার জন্যে সরকারি তথ্য সংগ্রহের অপরাধে ৭ বছরের জেল দেয়া হয়েছে৷ অন্যসব শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত; আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ; আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্যে গুজব ছড়ানো, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি৷ এই নতুন আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য এবং বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক কোন বক্তব্য বা ভিডিও প্রকাশ করলে তা যদি এই আইনের লঙ্ঘন হয়, তাঁর বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে৷

এই আইনটি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবী এবং নাগরিক সাংবাদিক বা ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে যারা মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন, তাঁদের উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলবে৷ তথ্য যোগাযোগ-প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিদ্যমান নতুন বা পুরনো আইনগুলো সম্পর্কে তাঁদের জ্ঞান থাকা জরুরি৷ এর সাথে দরকার ইন্টারনেট লিটারেসি এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহারে নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো কী কী এবং সেগুলো থেকে নিরাপদ থাকার উপায় সম্পর্কে জানা৷

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার

পেশাজীবী সাংবাদিক, নাগরিক সাংবাদিক ছাড়াও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকেই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তি সম্পর্কে সচেতন৷ অনেক রাজনীতিবিদ বা দলকেই দেখা যায় এটি ব্যবহার করে নিজেদের প্রচার করা এবং মতবাদ ছড়িয়ে দিতে৷ সাম্প্রতিককালে বিরুদ্ধমত বা অসত্য খবর বা গুজবের বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থান দেখা যাচ্ছে৷

এতদিন অনেকে নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করতেন৷ সাম্প্রতিক খবরে দেখা গেছে যে দেশের জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিপুল সংখ্যক ইন্টারনেট মনিটরিং বা আড়িপাতার যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নিয়েছে৷ প্রযুক্তিগতভাবে ঋদ্ধ সরকারি সংস্থাগুলো ভবিষ্যতে অতি সহজেই এ সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কথোপকথনের উৎসগুলোয় পৌঁছাতে পারবে এবং কেউ বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন করলে তাঁদের ধরে ফেলতে পারবে৷ ফলে এ সম্পর্কে সচেতনতা ও সতর্কতা রক্ষাও জরুরি, বিশেষ করে ইন্টারনেট অ্যাকটিভিস্টদের জন্যে৷

Rezwanul Islam Blog Blogger BOBs DW Bangladesch
রেজওয়ান ইসলাম, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টছবি: Rezwanul Islam

সাম্প্রতিক কালে দেখা গেছে বাংলাদেশে বিভিন্ন সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্টের অ্যাকাউন্ট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেয় ফেসবুক৷ একসাথে বেশ কয়েকজন রিপোর্ট করলে ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা প্রোফাইল সাময়িক বন্ধ করে দেয়, বা সেই পোস্ট অন্যদের ফিডে আসে না৷ বর্তমানের ফেসবুক রিপোরটিং পদ্ধতি এমনভাবে তৈরি যেন এটি কাউকে শিক্ষা দেবার জন্যে ব্যবহৃত হয়৷

যারা কোনো প্রতিষ্ঠিত মতবাদের বিরুদ্ধ মতবাদ প্রকাশ করে তাঁদের থামানোর জন্যে যেন এটি বিশেষভাবে তৈরি৷ এইসব করে থাকে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা অন্যান্য সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী যারা ভিন্নমত বা বিরুদ্ধচারণকে থামিয়ে দিয়ে মানুষকে ভীতিপ্রদানের মাধ্যমে চুপ করিয়ে দিতে চায়৷ এবং কোনো ব্যক্তির সেই বক্তব্যটুকু রিপোর্ট করে ফেসবুকে ব্যান করে জনগণের চোখের আড়ালে নিয়ে যাওয়াটা হচ্ছে তাঁদের জন্যে বিশাল বিজয়৷ এইভাবে বক্তব্য প্রকাশে বাধা দেওয়া ও হয়রানি করার পেছনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চুপ করিয়ে দেওয়া৷ ফেসবুকে একবার ব্যান হবার পর ভুক্তভোগীদের উপায় থাকে না জানার যে ঠিক কোন কারণে তার স্ট্যাটাসকে বা ভিডিওকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে – এবং এটি ফেরত পাবারও উপায় থাকে না৷ এভাবে রিপোর্ট করা দল বা ট্রলরা ফেসবুক ব্যবহার কারীদের অজ্ঞতার সুযোগ নিচ্ছে৷

কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন

ফেসবুক, টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে প্রাইভেসি সেটিংগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে ফ্রেন্ডস অনলি করে একটা পাবলিক পেজ বানিয়ে নেয়া যায় যেখানে বন্ধুর বাইরে – জন্যগণের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত পোস্টগুলি দেয়া যায় – আর নিজের ওয়ালে বন্ধুদের মধ্যে ব্যক্তিগত বা পরিবারের পোস্ট শেয়ার করা যায়৷ বন্ধুর বাইরে অন্য কাউকে আপনার ব্যক্তিগত ওয়ালে বা পাবলিক পেজে পোস্ট করতে দেবেন না বা কমেন্ট করা রেস্ট্রিক্টেড করে দেবেন৷ অচেনা লোকের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ করবেন না – তাঁদেরকে পাবলিক পেজে পাঠিয়ে দিন৷ কোনো আক্রমণ আসলে তা পেজের উপর দিয়ে যাবে – আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে৷

ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্যগুলি (বয়স, ফোন নম্বর ইত্যাদি) অন্য কাউকে দেখানো না উচিত (মি অনলি করে ফেলুন)৷ অন্যরা আপনাকে ট্যাগ করতে পারে এই অপশন বন্ধ করে দিন৷ ফেসবুক দিয়ে লগইন করা বাইরের অ্যাপ (যেমন প্রোফাইল পরিবর্তন করার) ব্যবহার করবেন না৷ কেউ আপনাকে আক্রমণ বা হয়রানি করলে তাকে বা তাদেরকে ব্লক করুন বা ফেসবুককে জানান৷

ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার উপায়

আপনি নামকরা মিডিয়ার সাংবাদিক বা মোটামুটি সামাজিক পরিচয় থাকলে অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাইড করে নিতে পারেন৷ ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুক সহজে ব্যবস্থা নেয় না৷

পেশাগত কারণে ফেসবুক ব্যবহার করলে আরেকটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন৷ সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য কম রাখবেন৷ আর শুধুমাত্র ফেসবুক বা টুইটারের উপর ভিত্তি করবেন না৷ আপনার তথ্য বা মতামত প্রচারের জন্য ব্লগ, ওয়েবসাইট বা অন্যান্য অধিকতর নিরাপদ মাধ্যম ব্যবহার করুন৷ সেগুলো সহজেই টুইটার বা ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন৷ সংবেদনশীল তথ্য যা জননিরাপত্তার কারণে জানানো দরকার তা দরকার হলে বেনামে প্রকাশ করুন৷ সেক্ষেত্রে নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রক্সি ব্যবহার করুন৷ তবে এ সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় রাখবেন৷

সংবেদনশীল যোগাযোগ বা কথোপকথনের জন্যে এনক্রিপ্টেড ইমেইল (পিজিপি) এবং সুরক্ষিত যোগাযোগ মাধ্যম যেমন সিগন্যাল ব্যবহার করুন – যা আড়িপাতা থেকে আপনাদের রক্ষা করবে৷ নিজে আক্রান্ত মনে হলে মোবাইলের জিপিএস ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন৷ ফোন ও কম্পিউটারকে ভাইরাস, ট্রয়ান হর্স বা ম্যালওয়ার থেকে মুক্ত রাখুন৷ সংবেদনশীল তথ্যের ব্যাকআপ রাখবেন এবং সেটা পাসওয়ার্ড এনক্রিপ্টেড করে রাখবেন৷

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার অধিকার দেয়া হয়েছে৷ এছাড়াও ৪৩ ধারায় বলা আছে নাগরিকের চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনতা রক্ষা অধিকার থাকবে৷ পর্যাপ্ত ইন্টারনেট জ্ঞানের অভাব এবং উপরোক্ত বিতর্কিত আইনগুলো এবং তার অপপ্রয়োগ এই অধিকারগুলোকে কতটুকু খর্ব করে তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে৷

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান