1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইথিওপিয়ায় খাবার পাচ্ছে না ২৩ লাখ শিশু

১৬ ডিসেম্বর ২০২০

টিগ্রেতে চলছে তীব্র লড়াই। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলিকে। অসহায় অবস্থা লাখ লাখ শিশুর।

https://p.dw.com/p/3mmZr
ইথিওপিয়া
ছবি: ICRC

ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে ইথিওপিয়ার টিগ্রের পরিস্থিতি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, প্রায় দুই দশমিক তিন মিলিয়ন শিশু সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সামান্য খাবার এবং ওষুধ পর্যন্ত তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না।

নভেম্বরের গোড়া থেকে টিগ্রেতে তীব্র লড়াই চলছে ইথিওপিয়া সরকারের সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ)। দীর্ঘদিন টিপিএলএফ কার্যত স্বতন্ত্র সরকার চালিয়েছে টিগ্রেতে। নভেম্বরে ইথিওপিয়ার নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী টিগ্রে দখলের জন্য সেনা পাঠান। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলির বক্তব্য, ইথিওপিয়া সরকার যুদ্ধের কোনো নিয়ম মানছে না। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত কোনো সংস্থাকে টিগ্রেতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার কোনো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, টিগ্রের ইন্টারনেট, ফোন লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। ভিতরে কী ঘটছে, তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। জাতিসংঘের ধারণা, যুদ্ধে হাজারখানেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইথিওপিয়া সরকার জানিয়েছে যুদ্ধ শেষ। কিন্তু টিপিএলএফের দাবি এখনো তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে টিগ্রের প্রায় ২৩ লাখ শিশু অসহায় অবস্থায় রয়েছে বলে ইউনিসেফ জানিয়েছে। তাদের কাছে খাবার, ওষুধ কিছুই পৌঁছচ্ছে না। টিপিএলএফ এবং ইথিওপিয়া সরকার সেই খাবার নিয়ে যেতে দিচ্ছে না। ইউনিসেফ জানিয়েছে, আরো কিছুদিন এমন চললে শিশুদের মৃত্যুও হতে পারে।

কয়েক লাখ মানুষ টিগ্রে ছেড়ে সুদানে পালিয়েছেন। এখনো বহু মানুষ টিগ্রেতে থেকে গিয়েছেন। টিগ্রেতে শরণার্থী শিবিরও আছে। যুদ্ধের পর শরণার্থীদের কী অবস্থা, তা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত জাতিসংঘ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)