ইথিওপিয়ার আরো একটি শহর টিগ্রে বাহিনীর হাতে
৬ আগস্ট ২০২১দীর্ঘদিন ধরে ইথিওপিয়ার টিগ্রে শহর নিয়ে লড়াই হয়েছে টিগ্রে বাহিনীর সঙ্গে ইথিওপিয়ার সেনার। ইথিওপিয়ার সেনা প্রেসিডেন্টের নির্দেশে কার্যত টিগ্রে অবরুদ্ধ করে টিগ্রে ফৌজের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। টিগ্রে নিজেদের দখলে রেখেছে টিগ্রে ফৌজ। এবার টিগ্রে থেকে এগোতে শুরু করেছে তারা। ঐতিহাসিক লালিবেলা শহর বুধবার দখল করেছে তারা। এই লালিবেলাতেই আছে দ্বাদশ শতকের একটি পাথরের চার্চ। যা ইউনেস্কো ওয়ার্লড হেরিটেজ। লালিবেলা দখলের পরেই ইউনেস্কো টিগ্রে ফৌজের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন গির্জাটির ক্ষতি না করে। সহিংসতার বর্জনের আর্জিও জানানো হয়েছে জাতিসংঘের তরফে।
স্থানীয় মানুষের বয়ান
স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, বুধবার কোনো রক্তপাত হয়নি। টিগ্রে বাহিনী প্রচুর অস্ত্র নিয়ে প্রথমে শহর ঘিরে ফেলে। তারপর ভিতরে ঢোকে। কিন্তু তাদের আটকানোর মতো কেউ ছিল না। স্থানীয় তরুণ এবং যুবকরা একটি বাহিনী তৈরি করেছিল। এতদিন তারা ইথিওপিয়া সেনা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করত। টিগ্রে বাহিনী আসছে শুনে তারা পালিয়ে যায়। পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স এবং অস্ত্র নিয়ে তারা পালায়। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, লালিবেলার মানুষ ওই বাহিনীর কাছ থেকে বন্দুক চেয়েছিল। কিন্তু তাও দেওয়া হয়নি তাদের। ফলে টিগ্রে ফৌজের কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়নি। ইথিওপিয়ার সেনাও ওই অঞ্চল ছেড়ে অনেক আগেই পালিয়ে গেছে।
ইথিওপিয়ার শাসকের কাছে টিগ্রের লড়াই ছিল সম্মানের লড়াই। এবার লালিবেলাও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে খানিকটা ব্যাকফুটে সরকার। নতুন করে সেখানে অভিযানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র যুদ্ধের জন্য প্রায় তিন লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে। তীব্র অনাহার শুরু হয়েছে ইথিওপিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এর মধ্যে যদি ফের লড়াই শুরু হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হবে।
এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)