ইউরোপের বাতাসে দূষণ
ইউরোপের বাতাসে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকখানি কমেছে৷ তবে এখনো জার্মানিসহ সাতটি দেশে দূষণের পরিমাণ আইনগতভাবে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি৷
১২ থেকে ৮
২০১১ সালে ইউরোপের আটটি দেশে বায়ু দূষণের মাত্রা ইউরোপীয় পরিবেশ সংস্থা ইইএ-র বেঁধে দেয়া মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল৷ তবে আগের বছর এমন দেশ ছিল ১২টি৷ ফলে বলা যায়, সার্বিকভাবে ইউরোপের বাতাস আগের তুলণায় বিশুদ্ধ হয়েছে৷
দূষণের কারণ
বিদ্যুত উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং শিল্প কারখানা ও গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় পরিবেশ সংস্থা৷
‘শত্রু’ নাইট্রোজেন অক্সাইড
নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইডের ৪০ ভাগের জন্য দায়ী গাড়ি ও ট্রাক৷ ইইএ-র নির্বাহী পরিচালক বলছেন প্যারিস, মার্সেই, তুরিন, মিলান, রোমসহ চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার কয়েকটি শহর কর্তৃপক্ষকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কমাতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে৷
অসুস্থতার কারণ
বায়ু দূষণের কারণে হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে শিশু কিশোরদের ফুসফুসের সমস্যাসহ নানারকমের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
দূষণ কমানোর উদ্যোগ
২০১০ সালের চেয়ে ২০১১ সালে ডেনমার্ক, মাল্টা, সুইডেন আর নেদারল্যান্ডসের বাতাসে দূষণের পরিমাণ কমেছে৷ শহরের মধ্যে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে, গতিসীমা কার্যকর করে এবং শহরের মধ্যে অধিবাসীদের বেশি করে সাইকেল চালাতে উৎসাহী করে নেদারল্যান্ডস সরকার বায়ু দূষণ কমানোয় সফলতা দেখিয়েছে৷
সেরা ডেনমার্ক
ইইএ-র মতে, বায়ু দূষণ কমানোয় সবচেয়ে বেশি সফলতা দেখিয়েছে ডেনমার্ক সরকার৷ এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সে দেশের জলবায়ু ও জ্বালানি মন্ত্রী (বামে) ও পরিবেশমন্ত্রী (ডানে)৷
দূষণ বেড়েছে জার্মানিতে
নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও ২০১১ সালে জার্মানিতে দূষণ বেড়েছে৷
ছোট পদক্ষেপ
দূষণ কমাতে দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ প্রয়োজন হলেও ঘরে লিলি জাতীয় গাছ রেখে আপনিও দূষণ কমানোয় সহায়তা করতে পারেন৷