1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোরালো করতে ইইউর ঝটিকা বাহিনী

২২ মার্চ ২০২২

ইইউ দেশগুলি ২০২৫ সালের মধ্যে এক অভিন্ন ঝটিকা বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ন্যাটোর সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে সেই বাহিনী৷ রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/48pHc
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট জার্মান সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশেষ ইউনিট গঠন করে ইইউ ঝটিকা বাহিনীর সূচনা করতে চানছবি: Johanna Geron/REUTERS

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি এতকাল মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অভিন্ন নীতি গ্রহণ করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে৷ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমন্বয়ের উদ্যোগ সত্ত্বেও সাহসী পদক্ষেপের জন্য ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় নি৷ কিন্তু ইউরোপের দোরগোড়ায় ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা এই রাষ্ট্রজোটকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷ সোমবার ইইউ পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা তাই এক ‘ব়্যাপিড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ ২০২৫ সালের মধ্যে এই ঝটিকা বাহিনী প্রস্তুত করার অঙ্গীকার করছে ইইউ সদস্য দেশগুলি৷ ২০০৭ সাল থেকে যে যুদ্ধকালীন ইউনিট চালু আছে, সেগুলির বদলে এই বাহিনী গঠন করা হবে৷ আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে সেনা প্রত্যাহারের পরেই ইউরোপের কিছু দেশ এমন উদ্যোগ শুরু করেছিল৷ বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাহিনীর ছাড়পত্র দেওয়া হবে৷

ইউরোপের অনেক দেশ সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও কিছু ইইউ রাষ্ট্র সেই কাঠামোর বাইরে রয়েছে৷ অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশ বরং নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে৷ ফলে আক্রান্ত হলেও ন্যাটোর হস্তক্ষেপের আশা করতে পারে না এই দেশগুলি৷ এবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এমন সাহসি পদক্ষেপ নিয়ে সেই দুর্বলতা দূর করতে চায় ইইউ৷ এর আওতায় প্রায় ৫,০০০ সৈন্য সংকটের সময় দ্রুত মোতায়েন করা যাবে৷ ২০২৩ সালেই প্রথম সামরিক মহড়া চালানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট জার্মান সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশেষ ইউনিট গঠন করে ইইউ ঝটিকা বাহিনীর সূচনা করতে চান৷ ইইউ-র পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জোসেপ বরেল বলেন, এমন বাহিনী গঠনের উদ্যোগ শুরু করার সময় ভাবা যায় নি, যে পরিস্থিতির এতটা অবনতি ঘটবে৷ এখন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষমতা বিবেচনা করতে হচ্ছে৷ বরেল আরো মনে করিয়ে দেন যে, হুমকি বেড়েই চলেছে৷ এ অবস্থায় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে তার মূল্য চোকাতে হবে৷ উল্লেখ্য, রাশিয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে ইউরোপে ইইউ ও ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ জি-সেভেন দেশগুলিও আলোচনায় বসছে৷ ভবিষ্যৎ ঝটিকা বাহিনী ন্যাটোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইইউ৷

সামরিক প্রস্তুতি ছাড়াও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের জন্য চাপ বাড়াচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি৷ জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার পাশাপাশি সে দেশের বিরুদ্ধে আরও জোরালো নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছে ইউরোপের একাধিক দেশ৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি জার্মানির উদ্দেশ্যে রাশিয়ার গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য বর্জন করার ডাক দিয়েছেন৷ তার মতে, জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য, জার্মান কোম্পানি ও ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলে রাশিয়ার হাতে যুদ্ধের জন্য আর কোনো অর্থ থাকবে না৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, যে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে জোরালো  তৎপরতা চলছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)