1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের নিরামিষভোজীদের বাজার ডর্টমুন্ডে

২০ মার্চ ২০১১

বিয়ার কিংবা সসেজের কথা ভুলে গিয়ে জার্মানির মতো মাংসাশী দেশের ডর্টমুন্ড শহরে নতুন ধরণের একটা সুপারমার্কেট যাত্রা শুরু করেছে৷ সেখানে আমিষ জাতীয় কোন খাবার নেই – এমনকি ডিম, দুধ বা মধুও নয়৷

https://p.dw.com/p/10cnM
নিরামিষভোজীদের স্বর্গছবি: picture-alliance/dpa

কয়লাখনি এবং পরিবেশ দূষণের জন্য ইউরোপের যে শহরটি এতদিন পরিচিত ছিল, সেই ডর্টমুন্ডে ইউরোপের নিরামিষভোজীদের জন্য প্রথম দোকান – ব্যাপারটা ঠিক মেলানো যায় না৷

পশু অধিকারবাদী এবং এই দোকানের মালিক রাল্ফ কালকভস্কি বললেন,‘‘অনেকেই নতুন দোকান খোলেন, যেখানে পশুদের জন্য কোন খাবার থাকে না৷ তাই লোকজন এই দোকানটি পেয়ে সেখানে কেনাকাটা করতে পছন্দ করছে৷''

শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দোকানটির নাম ‘ভেগিলিসিয়াস'৷ ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে এটি যাত্রা শুরু করে৷ আমিষ খাবারের পরিবর্তে দোকানের তাক ভরে আছে মসলা ও তেল ইত্যাদি দেড় হাজারেরও বেশি পণ্য৷ এই সুপার শপটি মাংস বিক্রি না করলেও রয়েছে ‘নিরামিষ মাংসের' ব্যবস্থা৷ যেমন চিনি এবং অন্য কোনো খাদ্য উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করেছে চিকেন উয়িংস বা টুনা ফিশের আদলে কিছু খাবার৷

কালকভস্কি এবং তাঁর স্ত্রী কিম এই দোকানটি পরিচালনা করছেন৷ কালকভস্কি বলেন, ‘‘লোকজন বলে, যে তারা চাজ বা পনির ছাড়া বাঁচতেই পারে না৷ কিন্তু আমরা পনিরের বিকল্প ত্রিশটি খাবার পেয়েছি৷ সুতরাং আপনি যা খেতে চান এখানে সেটাই পেতে পারেন৷''

এই সুপার শপের পাশাপাশি একটি ক্যাফেও চালাচ্ছেন তাঁরা৷ আর এজন্য কালকভস্কি এবং তাঁর ১৬ জন কর্মচারীকে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ জন ভোক্তাকে সামলাতে হচ্ছে৷

ভেগিলিসিয়াস মূলত তাঁদের জন্য যারা ‘ভেগানিজম' মতবাদে বিশ্বাসী৷ এই খাঁটি নিরামিষভোজীরা প্রাণীজাত কোনোরকমের খাবার খেতে নারাজ৷ এমনকি ডিম, দুধ, মধুও তাদের চলবে না৷ যুক্তরাজ্যের ভেগান সোস্যাইটির অ্যামান্ডা বেকার বলেন, ‘‘ভেগানরা মনে করেন যে পশুপাখিদের একা ছেড়ে দেওয়া উচিত৷ এটা কেবল নিষ্ঠুরতা থেকে বিরত থাকার জন্য নয়৷ বরং যদি পশুপাখিদের খাঁচা বন্দি করে রাখা হয়, তাহলে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন