ইউরোপের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন
৩০ জুলাই ২০১৪কারণ রাশিয়ার সঙ্গে ইইউ-র ভালো ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে৷ বিশেষ করে জ্বালানির জন্য ইইউ রাশিয়ার উপর অনেকখানি নির্ভরশীল৷ এই পরিস্থিতিতে ইইউ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় শেয়ার বাজারে তার একটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ এছাড়া রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে৷ যেমন তারা ইউক্রেন থেকে আর টিনজাত ফল ও সবজি কিনবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ প্রয়োজনে ইউরোপ থেকে আমদানি বন্ধ করবে বলেও হুমকি দিয়েছে রাশিয়া৷ এর ফলে, ইউরোপের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর যে প্রক্রিয়া চলছে, সেটা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ইইউ-রাশিয়া বাণিজ্য
গত বছর রাশিয়া আর ইইউ-র মধ্যে প্রায় ৩৩৬ বিলিয়ন ইউরোর ব্যবসা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে রাশিয়া ইইউ-র চেয়ে এগিয়ে রয়েছে৷ অর্থাৎ রাশিয়া যতটা না ইউরোপ থেকে পণ্য আমদানি করে, তার চেয়ে বেশি করে ইইউ, রাশিয়া থেকে৷ তাছাড়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি আর বিশ্বের শিল্পোন্নত সাতটি দেশের একটি ইটালির সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গভীর৷
প্রসঙ্গ ব্যাংকিং ইউনিয়ন
ইইউ-তে যে ব্যাংকিং ইউনিয়ন চালু হওয়ার কথা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন জার্মানির কয়েকজন অর্থনীতিবিদ৷ তাঁদের মতে, এটা জার্মান আইনের পরিপন্থি৷ এজন্য জার্মানির সাংবিধানিক আদালতেও গেছেন তাঁরা৷ নভেম্বর থেকে ব্যাংকিং ইউনিয়ন চালু হওয়ার কথা৷ এর দায়িত্ব হবে, ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের জাতীয় ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম দেখভাল করা৷ অর্থাৎ ঐসব ব্যাংকের উপর একটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে ঐ ব্যাংকিং ইউনিয়নের৷ আর এতেই আপত্তি জার্মান অর্থনীতিবিদদের৷ তাঁদের মতে, এটা ইউরোপীয় চুক্তির পরিপন্থি৷ এছাড়া জার্মানির মতো দেশগুলো, যাদের একটা কার্যকর ব্যাংকিং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে, ব্যাংকিং ইউনিয়ন তাদের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)