ইউরোপের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন উদ্যোগ
২৬ নভেম্বর ২০১৪ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় সরকারগুলির পাশাপাশি এবার ইউরোপীয় কমিশনও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা শুরু করছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে নতুন করে অর্থ পাওয়া কঠিন৷ তাই নির্ধারিত ইইউ বাজেটকেই সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷
কমিশনের নতুন প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার চলতি সপ্তাহেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সামনে এই মর্মে এক পরিকল্পনা পেশ করবেন৷ তিনি আগেই ৩০,০০০ কোটি ইউরো মূল্যের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ প্রাথমিক লোকসানের ঝুঁকি নিজের কাঁধে দিয়ে কমিশন বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়ে এই কাজ করতে চায়৷ পরিবহণ সহ অবকাঠামোর উন্নয়নের নানা প্রকল্পে এমন বিনিয়োগের ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতি উপকৃত হবে – এমনটাই আশা করছেন ইয়ুংকার৷
ইসিবি-র নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ইউরোপীয় কমিশন এই পথে এগোতে চাইছে৷ উল্লেখ্য, ব্যাংকগুলিকে সহজ শর্তে ঋণ দিতে উৎসাহ জোগাতে ইসিবি নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে৷ কমিশন ও ইসিবি-র এই উদ্যোগের ফলে ফ্রান্স ও ইটালির মতো দেশের বাজেট ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যাও কিছুটা কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ইসিবি অবশ্য এখনো সংস্কারের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে৷
প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যার পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও সমস্যা রয়েছে৷ ফ্রান্স ও ইটালিকে নিয়ে দুশ্চিন্তা এখনো কাটছে না৷ কাঠামোগত সংস্কারের চাপ সত্ত্বেও দুই দেশের সরকারই যথেষ্ট অগ্রগতি দেখাতে পারছে না৷ বাজেট সংক্রান্ত নিয়ম মানতে দুই দেশকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ ফলে গোটা ইউরো এলাকা আবার মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে কিছু মহল আশঙ্কা করছে৷
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিলো৷ জার্মানির অর্থনীতি জগত সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য এর অন্যতম কারণ৷ সে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রত্যাশা – তিনটি সূচকই বাজারের জন্য অনুকূল হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি সম্পর্কে সম্প্রতি তেমন ভালো খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না৷ অন্যদিকে ফ্রান্সের আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও সে দেশের শিল্পক্ষেত্রে উন্নতির ফলে বাজার আশ্বস্ত হয়েছে৷ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারও ঊর্ধ্বমুখী ছিল৷
এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)