1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন উদ্যোগ

২৬ নভেম্বর ২০১৪

বেসরকারি বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে ইউরোপের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নেতৃত্ব৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে এগোতে চাইছেন কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার৷

https://p.dw.com/p/1Dsqb
G20 Australien Jean-Claude Juncker 15.11.2014
জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারছবি: well as pressing issues including the situation in Ukraine and the Ebola crisis. (Photo by Paul Matthews/G20 Australia via Getty Images

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় সরকারগুলির পাশাপাশি এবার ইউরোপীয় কমিশনও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা শুরু করছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে নতুন করে অর্থ পাওয়া কঠিন৷ তাই নির্ধারিত ইইউ বাজেটকেই সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷

কমিশনের নতুন প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার চলতি সপ্তাহেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সামনে এই মর্মে এক পরিকল্পনা পেশ করবেন৷ তিনি আগেই ৩০,০০০ কোটি ইউরো মূল্যের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ প্রাথমিক লোকসানের ঝুঁকি নিজের কাঁধে দিয়ে কমিশন বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়ে এই কাজ করতে চায়৷ পরিবহণ সহ অবকাঠামোর উন্নয়নের নানা প্রকল্পে এমন বিনিয়োগের ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতি উপকৃত হবে – এমনটাই আশা করছেন ইয়ুংকার৷

ইসিবি-র নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ইউরোপীয় কমিশন এই পথে এগোতে চাইছে৷ উল্লেখ্য, ব্যাংকগুলিকে সহজ শর্তে ঋণ দিতে উৎসাহ জোগাতে ইসিবি নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে৷ কমিশন ও ইসিবি-র এই উদ্যোগের ফলে ফ্রান্স ও ইটালির মতো দেশের বাজেট ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যাও কিছুটা কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ইসিবি অবশ্য এখনো সংস্কারের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে৷

প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যার পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও সমস্যা রয়েছে৷ ফ্রান্স ও ইটালিকে নিয়ে দুশ্চিন্তা এখনো কাটছে না৷ কাঠামোগত সংস্কারের চাপ সত্ত্বেও দুই দেশের সরকারই যথেষ্ট অগ্রগতি দেখাতে পারছে না৷ বাজেট সংক্রান্ত নিয়ম মানতে দুই দেশকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ ফলে গোটা ইউরো এলাকা আবার মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে কিছু মহল আশঙ্কা করছে৷

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিলো৷ জার্মানির অর্থনীতি জগত সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য এর অন্যতম কারণ৷ সে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রত্যাশা – তিনটি সূচকই বাজারের জন্য অনুকূল হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি সম্পর্কে সম্প্রতি তেমন ভালো খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না৷ অন্যদিকে ফ্রান্সের আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও সে দেশের শিল্পক্ষেত্রে উন্নতির ফলে বাজার আশ্বস্ত হয়েছে৷ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারও ঊর্ধ্বমুখী ছিল৷

এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য