ইউরোপে বাসে যাতায়াত নিরাপদ করার যত উদ্যোগ
সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপ৷ তারপরও এড়ানো যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা৷ ছবিঘরে দেখুন নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কী কী নিয়ম মানতে হয় ইউরোপের চালক ও যাত্রীদের৷
সিট বেল্ট
২০০৫ সালের এক আইন অনুযায়ী, ইউরোপের ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রী ও চালকদের সিট বেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক৷ গাড়িতে শিশুদের জন্য পরিধান উপযোগী বিশেষ ধরনের সিট বেল্ট থাকাও বাধ্যতামূলক৷ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, সিট বেল্টের যথাযথ ব্যবহার করা গেলে, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে৷
চালকদের কর্ম নীতিমালা
অতিরিক্ত সময় ধরে গাড়ি চালালে চালকরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন, যেটিকে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা৷ আর তা ঠেকাতে ইউরোপে রয়েছে কঠোর আইন৷ এ আইন অনুযায়ী, কোনো চালক সপ্তাহে ৫৬ ঘণ্টা ও দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে পারবেন না৷ প্রতি সাড়ে চার ঘণ্টার পর একজন চালককে অন্তত ৪৫ মিনিটের বিরতি নিতে হবে৷
গাড়িতে টেকোগ্রাফ
ইউরোপের পরিবহন আইন অনুযায়ী, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত গাড়িতে টেকোগ্রাফ যন্ত্র থাকা বাধ্যতামূলক৷ গাড়ির গিয়ারবক্সে স্থাপিত এ যন্ত্রটি মূলত গাড়ির গতি, গাড়ি চলার সময় ও চালকের বিশ্রামের বিষয়ে নজরদারি করে৷
চালকদের সহায়তাকারী যন্ত্র
পরিবহন আইন অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ইউরোপে চলাচলকারী বাসে দুটি বিশেষ যন্ত্র স্থাপন বাধ্যতামূলক৷ এর একটি হলো, লেন পরিবর্তন সতর্কতা ব্যবস্থা বিষয়ক যন্ত্র, যেটি গাড়িটিকে লেন পরিবর্তনের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা প্রদান করে৷ আরেকটি হলো, জরুরি ব্রেকিং সিস্টেম৷ জরুরি ব্রেকিং সিস্টেমটি মূলত অন্য কোনো যানবাহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের সময় গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে৷
রাতেই হচ্ছে বেশি দুর্ঘটনা!
কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া নিয়ম ভাঙলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় চালকদের৷ এতসব আইন-কানুনের পরও পুরোপুরি এড়ানো যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা৷ তবে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো রাতে চালানো হচ্ছিল৷ সেই বিবেচনায়, যাত্রীদের দিনের বেলায় ভ্রমণে উৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা৷