1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরেনিয়াম মজুত বাড়ালো ইরান

৫ জানুয়ারি ২০২১

অ্যামেরিকাকে আরো চাপে ফেলে ইউরেনিয়ামের মজুত ২০ শতাংশ বাড়ালো ইরান। 

https://p.dw.com/p/3nVpf
Iraইরানের পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্র
ছবি: Maxar Technologies/​REUTERS

ট্রাম্প সরকার বিদায়ের আগে ইরানের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক আরো তলানিতে গিয়ে ঠেকল। সোমবার থেকে ইরান ২০ শতাংশ অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম মজুত করতে শুরু করেছে বলে সরকারি মুখপাত্র আলি রাবেই জানিয়েছেন। এর ফলে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে আর কোনো সমস্যা থাকল না ইরানের।

সমস্যার সূত্রপাত এক বছর আগে। ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি হত্যা করা হয়েছিল। ইরানের অভিযোগ ছিল, এই হত্যার পিছনে অ্যামেরিকা এবং ইসরায়েলের হাত আছে। শুধু তাই নয়, তদন্ত কমিটির বক্তব্য, জার্মানি সহ বিশ্বের বহু দেশ এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত। ওই হত্যাকাণ্ডের পরেই ইরান ঘোষণা করেছিল, তারা বদলা নেবে। মাসখানেক আগে আরো একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগানের সাহায্যে হত্যা করা হয় ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে। ওই ঘটনাতেও ইসরায়েল এবং অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ইরান। এর কিছুদিনের মধ্যেই ইরানের পার্লামেন্ট একটি নতুন আইন করে। যেখানে বলা হয়, ইরান এবার ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। কোনো ওয়াচডগ, অর্থাৎ, জাতিসংঘের সংস্থাকে পরমাণু কেন্দ্র দেখতে দেওয়া হবে না।

সোমবার থেকে আইন মেনে ইউরেনিয়ামেরমজুত শুরু হলো। এর আগেও একবার ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার পরেই রাতারাতি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে অ্যামেরিকাকে সরিয়ে নেন। ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। তারপর থেকেই নতুন করে অ্যামেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উদ্বেগজনক হতে শুরু করে।

সোমবার ইরানের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাটির নীচে গোপন পরমাণু কেন্দ্রে নতুন করে ইউরেনিয়ামের মজুত শুরু হয়েছে। এর ফলে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে আর কোনো সমস্যা থাকল না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)