ইউটিউবের প্রধান কার্যালয়ে হামলা
৪ এপ্রিল ২০১৮ঘটনাটি মঙ্গলবারের৷ পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ঐ নারীর নাম নাসিম নাজাফি আঘদাম৷ বয়স ৩৯৷ তিনি ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের স্যান ডিয়েগোর বাসিন্দা ছিলেন৷ কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়নি৷ পুলিশ হামলার কারণ জানার চেষ্টা করছে৷
গুলিতে আহত তিন জনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী৷ আহত পুরুষটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক৷ ঘটনার সময় পুরো কার্যালয়ের ২ হাজার কর্মীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়৷ এছাড়া একজন হুড়োহুড়ির মধ্যে পা মচকে পড়ে যান৷ তাঁদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷
ঘটনার সময় সংস্থাটির এক কর্মী টুইটারে লেখেন, ‘‘ইউটিউব প্রধান কার্যালয়ে বন্দুক হামলা৷ গুলির আওয়াজ পেলাম৷ ডেস্ক থেকে দেখলাম কর্মীরা সবাই দৌঁড়াচ্ছেন৷ এখন একটি কক্ষে সহকর্মীদের সঙ্গে আছি৷''
আরো অনেক কর্মী টুইটারে ঘটনার বিবরণ দিয়ে পোস্ট দেন৷
আক্রমণকারী ঐ নারী আসলে একজন ভেগান (নিরামিষ বিষয়ক) ব্লগার৷ তার অনলাইন প্রোফাইল থেকে জানা যায় যে, তিনি ইউটিউবের বিরুদ্ধে তাঁর ভিডিও শেয়ারে বৈষম্য তৈরির অভিযোগ করেছিলেন৷
আঘদাম একটি ওয়েবসাইট চালাতেন৷ এই ওয়েবসাইটে তিনি পার্সিয়ান সংস্কৃতি ও ভেগান বিষয়ে পোস্ট দিতেন৷ একইসঙ্গে তাঁর ওয়েবসাইটে ইউটিউবের সমালোচনামূলক অনেকগুলো পোস্ট রয়েছে৷
সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করা থাকলেও অনেকগুলো ভিডিওতে প্রচুর ভিউ হলেও সেজন্য ইউটিউব তাকে কোনো পয়সা দেয়নি৷
আরেকটি স্ক্রিনশটে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউটিউব আমার চ্যানেলগুলোকে ফিল্টার করে রেখেছে যেন মানুষ দেখতে না পারে৷''
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাৎক্ষণিকভাবে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউটিউবের প্রধান কার্যালয়ের ঘটনা সম্পর্কে মাত্রই অবহিত হলাম৷ আমাদের প্রার্থনা রইলো কর্মীদের প্রতি৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমাদের অসাধারণ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও যাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই৷''
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নগরের মেয়রও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান এবং তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন৷
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে শত শত বন্দুকের হামলার ঘটনা ঘটে৷ এ দেশে খুব সহজেই একজন বন্দুকের মালিক হতে পারেন৷ সর্বশেষ ফ্রেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডায় একটি স্কুলে ১৭ জন নিহত হবার পর থেকে এই নীতি নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে৷
প্রায় ১৫ লাখ মানুষ গত ২৪ মার্চ বন্দুক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন৷
জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)