ইউক্রেনে ধ্বংস ও মৃত্যু আতঙ্কের এইসব দিন-রাত্রি
আতঙ্কহীন কোনো মুহূর্ত নেই৷ পর্যাপ্ত আহার, নিদ্রার নিশ্চয়তাও নেই কারো জীবনে৷ রাশিয়ার হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ইউক্রেনে তবু কেউ খেলায় কিংবা বইয়ের পাতায় আনন্দ খোঁজেন, কেউ কেউ ঘুরতেও বের হন...৷ দেখুন ছবিঘরে...
‘উন্মুক্ত’ সেলুন
গত কয়েকদিন ধরে মারিউপলে রাশিয়ার আক্রমণের তীব্রতা অনেক বেড়েছে৷ দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরটিতে তারপরও জীবন থেমে নেই৷ এভাবে খোলা আকাশের নীচে চুল কাটাও চলে কোথাও কোথাও৷ ছবিটি ১৮ এপ্রিলেল তোলা৷
বিনে পয়সায় খাবার
নিজেদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির সামনেই বিনে পয়সায় খাওয়ার সুযোগ পেয়ে বেশ তৃপ্তি নিয়েই খাচ্ছেন তারা৷ রাজধানী কিয়েভের বোরোদিয়াঙ্কা অঞ্চলের ছবি৷
মৃত কুকুর এবং ভাঙা জানালা
খারকিভের এক বাসিন্দার ভাগ্য ভালো যে একটা জানালা ভাঙলেও বাড়িটা এখনো বাসযোগ্য আছে৷ মন দিয়ে তাই জানালা ঠিক করছেন তিনি৷ কাছেই মরে পড়ে আছে একটি কুকুর৷
সাবওয়ে কারে থাকা-খাওয়া
খারকিভে সাবওয়ে কারের ভেতরে এক তরুণ খাচ্ছেন৷ পাশেই মাটিতে শুয়ে আছেন একজন৷ রুশ হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই৷
শিশুর আনন্দ
রাশিয়ার হামলায় মারিউপল ক্ষতবিক্ষত৷প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি-ঘরের পাশ দিয়েই স্কুটার নিয়ে ঘুরছে এক শিশু৷
উন্মুক্ত রান্নাঘর
মারিউপলের এই বাসিন্দা এখনো নিজের বাড়িতেই থাকছেন৷ মাথা গোঁজার ঠাঁইটটুকু অবশিষ্ট থাকলেও রান্নাঘরটি ধ্বংস হয়ে গেছে৷ তাই ঘরের বাইরে রান্না করছেন তিনি৷
সুখ
মারিউপলের এই ছবিটিও ১৮ এপ্রিলের৷ প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া লোকালয়ে পাশাপাশি বসার মতো একটা অক্ষত বেঞ্চ খুঁজে পেয়েই খুশি ভ্লাদিমির ইয়াকভলেভ এবং তার স্ত্রী লুডমিলা৷
বইপ্রেমী
খারকিভের এক মেট্রোস্টেশন৷প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে৷এক নারী এমন পরিস্থিতেও অল্প আলোয় বই পড়ছেন!
ধ্বংস দেখা...
কয়েকদিন আগেও যে মারিউপল দেখে গর্ব হতো, সেই শহর এখন যেন অচেনা৷রাশিয়ার বোমা হামলার চিহ্ন নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ ছবিতে সাইকেল নিয়ে শহর দেখতে বের হওয়া তিনজন৷
পথই যাদের ঠিকানা
লুহানস্ক শহরের এই বাসিন্দার এখন রাস্তার পাশেই দিন কাটে৷ এভাবে রাস্তার পাশে রান্না করে খেয়ে রাস্তার পাশেই ঘুমান তিনি৷
পড়ুয়া জিনাইদা
কিয়েভের বোরোদিয়াঙ্কা অঞ্চলের এই নারীর নাম জিনাইদা মাকিশাভিয়া৷ বয়স ৮২৷ বই পড়া তার নেশা৷ তাই আতঙ্কের নগরীতে আঁতশকাচের সহায়তা নিয়ে এখনো এভাবে বই পড়েন তিনি৷