1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকটের মাঝে নির্বাচনি ধাক্কা খেলেন শলৎস

৯ মে ২০২২

এক রাজ্য নির্বাচনে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের এসপিডি দলের ভরাডুবি হয়েছে৷ আগামী রোববার আরেক নির্বাচনে জয়ের মুখ না দেখলে শলৎসের নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/4B0bm
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসছবি: Britta Pedersen/AFP

ইউক্রেন সংকটকে ঘিরে জার্মানির মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য সত্ত্বেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেমে নেই৷ একের পর এক রাজ্যে নির্বাচনের ফল তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে৷ মূলত রাজ্য স্তরের নেতাদের জনপ্রিয়তা ও রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাধান্য পেলেও সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় যে জার্মানির সাধারণ মানুষের মনে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করছে, সে বিষয়ে কোনো সংশয় নেই৷

জনবিরল সারল্যান্ড রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ আগে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল৷ রোববার উত্তরের শ্লেসভিগ হলস্টাইন রাজ্যের নির্বাচনে বিরোধী রক্ষণশীল সিডিইউ দল প্রায় সে রকমই সাফল্য পেয়ে চাঙা হয়ে উঠেছে৷ এবার আগামী রোববার জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার নির্বাচনের ফলাফলের দিকে সবার নজর থাকবে৷ সেখানে জনমত সমীক্ষায় আপাতত এসিপিডি এবং সিডিইউ প্রায় সমান সমর্থন পাচ্ছে৷

আঞ্চলিক নির্বাচনের রসায়নের উপর জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি সাধারণত তেমন প্রভাব ফেলা না৷ তবে চলমান ইউক্রেন সংকটে চ্যান্সেলর শলৎসের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক মহলে সংশয় এসপিডি দলের প্রতি সমর্থনের উপর কুপ্রভাব ফেলছে কিনা, শ্লেসভিগ হলস্টাইনে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের পর সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ এমনকি সবুজ দল দ্বিতীয় স্থান দখল করে এসপিডি-কে তালিকায় তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে৷

গত এক বছরে একের পর এক নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিরোধী সিডিইউ দল অবশেষে সাফল্যের স্বাদ পেয়ে আপ্লুত৷ শ্লেসভিগ হলস্টাইন রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডানিয়েল গ্যুন্টার এমন জয়ের মূল দাবিদার হলেও সার্বিকভাবে ইউনিয়ন শিবির চাঙ্গা হয়ে উঠছে৷ সিডিইউ দলের বর্তমান নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের একদা প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে পরিচিত হলেও গ্যুন্টার আপাতত দলের জন্য সুখবর বয়ে এনেছেন৷ ম্যার্ৎসও সেই সাফল্য উপভোগ করছেন৷

রোববারের আঞ্চলিক নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি খারাপ ফল করায় রাজনৈতিক মহলে স্বস্তি দেখা যাচ্ছে৷ ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় সে দল রাজ্য বিধানসভায় স্থান পাবে না৷ এই প্রথম সেই দলের এমন দশা হলো৷ অন্তর্দ্বন্দ্বকেই এমন ভরাডুবির জন্য দায়ী করছে দলের একটা বড় অংশ৷

বার্লিনে জোট সরকারের শরিক হলেও রোববারের নির্বাচনে ফায়দা তুলতে পেরেছে পরিবেশবাদী সবুজ দল ও উদারপন্থি এফডিপি৷ শ্লেসভিক হলস্টাইন রাজ্যে ভবিষ্যতেও সিডিইউ দলের নেতৃত্বে জোট সরকারে অংশ নিতে পারে এই দুই দল৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)