ইউক্রেন প্রশ্নে পুটিন
১ সেপ্টেম্বর ২০১৪রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠিন অর্থনৈতিক অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ শনিবার ২৮টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন সংকটে ভূমিকার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ৷ সম্মেলনে ‘রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের' বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো৷ অন্যদিকে ইউক্রেন সংকট ঘনীভূত হওয়ার জন্য কিয়েভ সরকারকেই দায়ী করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷
রাশিয়ার ‘চ্যানেল ওয়ান' টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন৷ ইউক্রেন সরকার এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী' হিসেবে বিবেচিত পূর্ব ইউক্রেনের যোদ্ধাদের ‘আধাসামরিক বাহিনী' হিসেবে উল্লেখ করে পুটিন বলেন, যুদ্ধরত দু'পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হলে ইউক্রেন সংকট নিরসন সম্ভব নয় আর আলোচনার মাধ্যমেই কেবল সমঝোতা হতে পারে৷ রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘পূর্ব ইউক্রেনের আধাসামরিক বাহিনী' ইতিমধ্যে কিয়েভ সরকারের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু কিয়েভ সেই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে৷ আলোচনায় ইউক্রেন সরকারের অনিহার কারণেই সংকট ঘনীভূত হয়েছে বলে পুটিন মনে করেন৷
সাক্ষাৎকারে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পূর্ব ইউক্রেনের অধিবাসীদের রাষ্ট্রপরিচয়ের প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দিয়ে বড় আঙ্গিকে আলোচনার দাবিও রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷
গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন সেনাবাহিনী এবং পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যুদ্ধে অন্তত ২৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ এ যুদ্ধে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তার অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র৷
এদিকে শনিবার ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ সাইবেরিয়ার ইয়াকুট্স্ক-এ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের সোনাবাহিনী আবাসিক এলাকাগুলোতেও নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে, অথচ দুঃখজনকভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোসহ আরো কিছু দেশ সে বিষয়টির দিকে মনযোগ দিচ্ছে না৷''
এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)