ইউক্রেন নিয়ে শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বার্লিনে সমাবেশ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩জার্মানির বাম দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ জারা ভাগেনক্নেশট, করোনা নিয়ে চীনের মতো ভুল তথ্য ছড়িয়ে আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জার্মান অধ্যাপক আলিস সোয়ার্ৎসা এবং একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এই সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন৷
এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে দাবি করেন ভাগেনক্নেশট ও তার সমর্থকেরা৷ তবে পুলিশ বলছে, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১৩ হাজারের মতো ছিল৷
সমাবেশ আয়োজনের সপ্তাহখানেক আগে তারা ইউক্রেন নিয়ে একটি ‘পিস মেনিফেস্টো' প্রকাশ করেছিলেন৷ এতে ইউক্রেনে সামরিক রপ্তানি বন্ধ এবং কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়৷ রোববার পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ ৭০ হাজার মানুষ মেনিফেস্টোতে সই করেন৷
তবে জার্মান সরকার ও মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো শনিবারের সমাবেশ ও পিস মেনিফেস্টোর কড়া সমালোচনা করেছে৷
ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেক সমাবেশকে রাশিয়ার প্রোপাগান্ডার মঞ্চ এবং মেনিফেস্টোকে ‘অসম্ভব আশা' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
ভাগেনক্নেশট তার নিজ দলের পক্ষ থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ সমাবেশে জার্মান সমাজের চরম ডানপন্থি অংশের লোকজনও অংশ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বাম দলের নেতারা৷
পর্যবেক্ষকরা সমাবেশে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক রুশপন্থি কিংবা ডানপন্থি প্রতীক দেখতে পেয়েছেন৷
বাম দলের ভাইস চেয়ারপার্সন কাটিনা শুব্যার্ট বলেন, ‘‘সমাবেশে অংশ নেয়া অনেককে বেয়ারবককে (জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী) হিটলারের সঙ্গে তুলনা করতে দেখা গেলেও মঞ্চে বক্তব্য দেয়ার সময় কাউকে বিষয়টি খণ্ডন করতে দেখা যায়নি- যা আমার চোখে ফ্যাসিবাদের এক ভয়াবহ আপেক্ষিককরণ৷''
এদিকে সমাবেশ ও মেনিফেস্টো নিয়ে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিতর্ককে ‘হাস্যকর' অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন ভাগেনক্নেশট ও সোয়ার্ৎসা৷ তাদের মতে, এটা ‘নাগরিক আন্দোলন' এবং মূলধারা একে দমাতে চাইছে৷
একদিক থেকে তাদের এই বক্তব্য অনেকখানি ঠিক, কারণ জার্মানিতে সোমবারের পত্রিকার মন্তব্যের পাতাগুলোর অনেক অংশ জুড়ে সমাবেশের খবর ছিল৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)