ইউক্রেন নিয়ে পালটাপালটি অভিযোগ
৮ এপ্রিল ২০১৪সপ্তাহান্তে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক, খারকিভ ও লুগানস্ক শহরের কয়েকটি সরকারি ভবন দখল করে নেয় রুশপন্থিরা৷ পরে দোনেৎস্ককে তারা স্বাধীন ঘোষণা করে সেখানে সৈন্য পাঠানোর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের প্রতি আহ্বান জানায়৷
ইউক্রেনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যারা ভবন দখলের কাজে লিপ্ত তাদের ‘সন্ত্রাসী' হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ ইতিমধ্যে খারকিভে অভিযান চালিয়ে ৭০ জন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী'-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য রাশিয়া দায়ী৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নে বলেন, ভবন দখলের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেকেই ঐ অঞ্চলে বাস করে না এবং তাদের অর্থের বিনিময়ে কাজে লাগানো হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তিনি ইউক্রেনে ‘অস্থিরতা' তৈরির চেষ্টা থেকে রাশিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানান৷ নইলে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলেও হুমকি দেন৷
রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেন যদি পূর্বাঞ্চলে শক্তি প্রয়োগ করে, তবে তা গৃহযুদ্ধের দিকে রূপ নিতে পারে৷
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মনে করেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা যে দাবি জানাচ্ছে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক কারণে সেটা বৈধ৷ শক্তি প্রয়োগ করে তাঁদের (অধিবাসীদের) এই দাবির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানো ইউক্রেনের অবশ্যই উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ইউক্রেন মার্কিন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ দিয়েছে যারা ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর পোশাক পরে কাজ করছে৷ ঐ নিরাপত্তা কর্মীরা ‘গ্রেস্টোন লিমিটেড' সংস্থার বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়৷
এদিকে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
জেডএইচ/এসবি (রয়টার্স, এএফপি)