ইউক্রেন নিয়ে পুটিন, শলৎসের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা
১১ নভেম্বর ২০২৪ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুটিনের ফোনে কথা হয়েছে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে তারা কথা বলেছেন৷
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ওয়াকিবহাল মানুষ ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ফোনে পুটিনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপে পর্যাপ্ত মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আছে৷ খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানে তারা আবার আলোচনা করবেন বলেও ঠিক হয়েছে৷
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়৷ তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, ট্রাম্প যে পুটিনের সঙ্গে কথা বলবেন, সেই খবর তাদের কাছে ছিল না৷ ট্রাম্পের সঙ্গে এই ব্যক্তিগত কথপোকথন নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷
ট্রাম্প নিয়ে ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের জয়ের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ‘‘ইতিবাচক বার্তা আসছে৷ অন্ততপক্ষে কেউ শান্তির কথা বলছেন, সংঘাতের কথা নয়৷''
বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার আগে তারা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করবে৷
শলৎসের প্রতিক্রিয়া
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গেও ট্রাম্পের ইউক্রেন নিয়ে কথা হয়েছে৷ শলৎস ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন, ইউক্রেনকে যেন আগের মতোই সাহায্য করা হয়৷
জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউরোপে শান্তি ফেরানোর জন্য অ্যামেরিকার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন শলৎস৷
টেলিফোনে শলৎস ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দেন, জার্মানি ও অ্যামেরিকা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক আছে৷
রোববার সন্ধ্যায় শলৎস সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডি-র টক শো-তে বলেন, ‘‘আমার নীতি একেবারে স্পষ্ট৷ সাধারণভাবে বলতে গেলে, ঘরে যারা আছে, তাদের সঙ্গেই তো আপনি নাচতে পারবেন৷ এটা অ্যামেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেও খাটে৷''
প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, জার্মানি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কম খরচ করছে৷ শলৎস বলেছেন, ‘‘আমরা এখন জিডিপি-র দুই শতাংশ অর্থ প্রতিরক্ষায় খরচ করছি৷ ন্যাটো নির্দেশিকা অনুসারে এই পরিমাণ অর্থ প্রতিরক্ষাখাতে খরচ করতে হয়৷''
ইলন মাস্কের মন্তব্য নিয়ে
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে যাওয়ার পর মার্কিন ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্ক সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ জার্মান ভাষায় লিখেছিলেন, ‘‘ওলাফ হলেন বোকা৷''
তার জবাবে শলৎস বলেছেন, ‘‘আমি সম্মানিত৷ তবে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ধনকুবের সম্পর্কে আমি কোনো মন্তব্য করব না৷ তিনি কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নন৷ যদিও ক্ষেত্রে এই ধারণা জন্মায় যে, তারা রাষ্ট্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী৷''
জিএইচ/জেডএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)