1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দরিদ্র' রাষ্ট্রগুলোতে শরণার্থীদের পাঠাতে পারবে জার্মানি

১৯ মার্চ ২০১৯

আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানি থেকে  ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দেয়ার অধিকার বার্লিনের রয়েছে৷ সেসব দেশে জীবনযাপনের মান যদি জার্মানির চেয়ে খারাপও হয় তারপরও তা করা যাবে৷ ইউরোপীয় আদালত এই রায় দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3FJgP
Grenzdurchgangslager  Friedland Syrische Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Pförtner

ইউরোপের বিচার আদালত (ইসিজে) মঙ্গলবার এক রায়ে বলেছে জার্মানি চাইলে  আশ্রয়প্রার্থীদের ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবে৷ লুক্সেমবুর্গভিত্তিক আদালতটির বিচারকরা বলেছেন, শরণার্থীদের যে-দেশে ফেরত পাঠানো হবে, সে-দেশের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা এবং জীবনমান যদি জার্মানির চেয়ে খারাপও হয় তারপরও সেখানে তাদের বিতাড়ন করা যাবে৷

ইসিজি কী বলেছে?

ইইউভুক্ত কোনো দেশের সামাজিক সুযোগ-সুবিধাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা সেদেশে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে না৷

তবে কোনো দেশের অবস্থা যদি এতই খারাপ হয় যে সে-দেশে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা, যেমন খাবার, গোসল এবং আশ্রয়স্থল পাওয়ার মতোও নিশ্চয়তা নেই, সে-দেশে শরণার্থীদের বিতাড়ন করা যাবে না৷

জার্মানির মতো একই জীবনমানের নিশ্চয়তা নেই বলে অন্য দেশে যাওয়া যাবে না, এই যুক্তিতে শরণার্থীরা বিতাড়ন ঠেকাতে পারবেন না৷

বিচারকরা এটাও তুলে ধরেছেন যে, ইইউ আশ্রয় ব্যবস্থা পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ইইউ রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে৷

একটি ইইউভুক্ত দেশে নিরাপত্তা পাওয়ার পরও যদি একজন শরণার্থী অন্য দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেন, তাহলে সে আবেদন বাতিল করা যাবে৷

ইইউ'র আশ্রয় ব্যবস্থা নিয়মগুলো কী?

ইইউ'র ডাবলিন প্রবিধান অনুযায়ী, একজন আশ্রয়প্রার্থী ইইউ'র যে-দেশে প্রথম পা রেখেছেন, সে-দেশেই আশ্রয়ের আবেদন করতে হবে৷ সেই দেশ আশ্রয়প্রার্থীর দেখভালের এবং তার আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে দায়বদ্ধ৷ একজন অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি সে-দেশ ছেড়ে অবৈধভাবে অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয়ের আবেদন করেন, তাহলে তাকে আবারো আগের দেশে বিতাড়ন করা যাবে৷ তবে, এই বিতাড়ন প্রথম ছয় মাসের মধ্যে করতে হবে৷

এখন কী হবে?

ইসিজে এই রায় দেয়ার পর এখন ইইউ'র বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় আদালতের আশ্রয়ের বিষয়ে জমা পড়া মামলাগুলোর রায় দিতে হবে৷ তাই সুনির্দিষ্ট মামলাগুলোতে শরণার্থীদের কী হবে তা আসলে জার্মানির আদালতই চূড়ান্ত করবে৷ আর ইসিজি'র এই সিদ্ধান্তের কেমন প্রতিক্রিয়া হাঙ্গেরি, ইটালি এবং পোল্যান্ড দেখাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়৷

উল্লেখ্য, গত বছর আট হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশে বিতাড়ন করেছিল জার্মানি৷ এর মধ্যে অধিকাংশই ইটালিতে ফেরত গেছেন৷ আর অল্পকিছু গ্রিসে গেলেও হাঙ্গেরি কাউকে গ্রহণ করেনি৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য