1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ই.ইউ. শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলকে স্বাগত জানাল রাশিয়া

সঞ্জীব বর্মন২ সেপ্টেম্বর ২০০৮

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ বৈঠকে রাশিয়ার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয় নি৷ কিন্তু যথেষ্ট কড়া ভাষায় জর্জিয়া সঙ্কটের ক্ষেত্রে রাশিয়ার নীতির সমালোচনা করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/FAER
রুশ প্রধানমন্ত্রী পুটিন: সংলাপ চালু থাকায় সন্তুষ্টছবি: AP

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্ভবত কৌশলগত কারণেই রাশিয়া ই.ইউ. শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে৷ নিষেধাজ্ঞা চাপানোর উদ্যোগ কার্যকর না হওয়ায় রাশিয়া স্বস্তি প্রকাশ করেছে৷ তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, জর্জিয়ায় রাশিয়ার উদ্দেশ্য কী ছিল, ই.ইউ. তা বোঝার চেষ্টা করে নি - যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক৷ প্রথমে জর্জিয়ার আগ্রাসন এবং তার পরিণতি হিসেবে দুই বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ - আবখাজ়িয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতির পেছনে রাশিয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন ই.ইউ. শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমে ইউরোপ আবেগের বদলে যুক্তি প্রদর্শন করেছে৷ ……আমরা কোনো র‌্যাডিকাল সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব দেখছি না - যেটা অত্যন্ত ইতিবাচক এক প্রতিক্রিয়া৷–– পুটিনের মতে, এর ফলে ইউরোপীয় সহযোগীদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার একটা ভিত্তি পাওয়া গেল৷

রাশিয়ার আশঙ্কা

কূটনৈতিক স্তরে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে এলেও একটি বিষয় নিয়ে রাশিয়া অত্যন্ত উদ্বিগ্ন৷ জর্জিয়ার সহায়তার লক্ষ্যে কৃষ্ণ সাগরে সামরিক জোট ন্যাটোর বেশ কয়েকটি রণতরী যেভাবে সমবেত হয়েছে, তা রাশিয়ার জন্য বেশ অস্বস্তিকর এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ রাশিয়া এর যথাযথ জবাব দেবে বলে প্রচ্ছন্ন একটা হুমকিও দিয়েছে৷ রাশিয়ার মূল দুশ্চিন্তা হল, পশ্চিমা বিশ্ব জর্জিয়ার প্রশাসনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকলে ককেশাস অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে৷

কূটনৈতিক উদ্যোগ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্ব রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে কতটা আগ্রহী - তা প্রদর্শন করতে আগামী সোমবার উচ্চ-পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল মস্কো সফর করতে চলেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজ়ি, ই.ইউ. কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ়োসে মানুয়েল বারোসো এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা খাবিয়ের সোলানা প্রথমে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি ও তারপর মস্কোয় যাবেন৷ ককেশাস অঞ্চলের সঙ্কট মেটাতে ফ্রান্স ৬ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল এবং রাশিয়া ও জর্জিয়া - দুই পক্ষই সেই মর্মে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল৷ সেই চুক্তি আদৌ কতটা কার্যকর হচ্ছে, ই.ইউ. নেতারা তা খতিয়ে দেখতে চান৷ রাশিয়া জর্জিয়ার মূল ভূখণ্ডে এখনো সেনা মোতায়েন রাখায় ই.ইউ. অত্যন্ত অসন্তুষ্ট৷

জর্জিয়ার প্রতিক্রিয়া

ই.ইউ. সম্মেলনের ফলাফল সম্পর্কে জর্জিয়াও বেশ সন্তুষ্ট৷ বিশেষ করে সম্মেলনে জর্জিয়ার পুনর্গঠনের জন্য আর্থিক সাহায্য তরান্বিত করতে দাতা দেশগুলির এক সম্মেলনের যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তার ফলে জর্জিয়ার সরকার অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট মিখায়েল সাকাশভিলি বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপে যে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করেছিল, সেই প্রচেষ্টা বিফল হয়েছে৷

সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের সময় দুই পক্ষই cluster bomb বা পুঞ্জ বোমা ব্যবহার করায় বহু এলাকা এখনো অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে৷ ফ্রান্স জর্জিয়া ও রাশিয়া - দুই পক্ষের উদ্দেশ্যেই সেই সব এলাকা ঘিরে ফেলে যে সব বোমা বিস্ফোরণ হয় নি, সেগুলি নিরাপদে সরিয়ে ফেলার ডাক দিয়েছে৷