ইইউ নির্বাচন
১১ মে ২০১৪পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ নির্বাচিত হবে৷ ইইউ'র নাগরিকরা যাতে ভোট দিতে যান, সেজন্য প্রচারণা বিশেষজ্ঞরা বিপুল অর্থ ও পরিশ্রম ব্যয় করছেন৷ কিন্তু তা'তে বিশেষ লাভ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না৷ ইইউ'র ১২টি দেশের প্রায় নয় হাজার সম্ভাব্য ভোটারের জরিপে সেটাই প্রকাশ পেয়েছে৷
উত্তরদাতাদের ৬২ শতাংশ ইইউ নির্বাচনে ‘‘একেবারেই আগ্রহী নন'', কিংবা ‘‘ত'তোটা আগ্রহী নন''৷ মাত্র ৩৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তাঁরা ভোট দিতে যাবেন৷ এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, ২০০৮ সালের শেষ নির্বাচনে বস্তুত ভোট দিতে গিয়েছিলেন ৪৩ শতাংশ ভোটার৷ কাজেই এবারকার ‘প্রোজেকশন' তারও নীচে৷
ইইউ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী দৃশ্যত বেলজিয়ামের মানুষদের: ৫৩ শতাংশ৷ কিন্তু সেক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে, বেলজিয়ামে ভোট দেওয়াটা বাধ্যতামূলক৷ ইইউ নির্বাচনে উৎসাহের পরিমাপে বেলজিয়ামের পরে আসছে ফ্রান্স (৪৪ শতাংশ), তারপর নেদারল্যান্ডস (৪১ শতাংশ)৷ আগ্রহ সবচেয়ে কম ব্রিটেন (২৭ শতাংশ) এবং পোল্যান্ডে (২০ শতাংশ)৷
জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে নেতারা
জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে অন্য সবার থেকে এগিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, যার সম্পর্কে ৫১ শতাংশ ‘রেসপন্ডেন্ট' বলেছেন, তাদের ধারণা ‘‘খুবই ইতিবাচক'' বা ‘‘বেশির ভাগ ইতিবাচক''৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন: তাঁর পক্ষে ৩৫ শতাংশ৷ জনপ্রিয়তায় সবার নীচে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ: মাত্র ২০ শতাংশের তাঁকে পছন্দ; সে তুলনায় ওলঁদ'কে অপছন্দ করেন ৩২ শতাংশ৷
দলীয় প্রার্থীরা ঠিক ‘দৃষ্টিগোচর' নন
ইউরোপের তিনটি মুখ্য রাজনৈতিক গোষ্ঠী: মধ্য-বাম সমাজতন্ত্রীরা, মধ্য-ডান ইপিপি এবং উদারপন্থিরা, এই তিনটি গোষ্ঠীই ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন করেছে বটে - কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের দু'সপ্তাহ আগেও ৬০ শতাংশ মানুষ জানেন না, এই প্রার্থীরা কারা৷
ইপসস-মোরি সংস্থা গত এপ্রিল মাসে এই জরিপটি করে৷ জরিপে বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্পেন ও সুইডেনের মোট ৮,৮৩৩ জন মানুষকে প্রশ্ন করা হয়৷
এসি/জেডএইচ (রয়টার্স)