ইইউ দীর্ঘ বিলম্ব মানলে আগাম নির্বাচন চান জনসন
২৪ অক্টোবর ২০১৯ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাধ্য হয়ে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর যে আবেদন করেছেন, সেটি বিবেচনা করতে আরো সময় নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সেই আবেদন যাতে নাকচ হয়ে যায়, জনসন নিজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন৷ দীর্ঘমেয়াদী বিলম্বের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি কোনো জরুরি কারণ উল্লেখ করেননি৷ ফলে ব্রিটেনে প্রক্রিয়াগত জটিলতার খাতিরে ইইউ বড়জোর মাত্র কয়েক সপ্তাহের বিলম্ব মেনে নেবে, এমনটাই আশা করছেন তিনি৷ সে ক্ষেত্রে সংসদের উপর ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সব প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷
অন্যদিকে জনসনের আশঙ্কা, তিন মাস অথবা আরও লম্বা বিলম্ব ঘটলে বিরোধীরা দ্বিতীয় গণভোট বা আগাম নির্বাচন তরান্বিত করতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ঘটনাপ্রবাহের রাশ তাঁর হাতছাড়া হয়ে যাবে৷ এমন পরিস্থিতিতে জনসন নিজেই আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন৷ ইইউ ব্রেক্সিটের সময়সীমা ৩ মাস পিছিয়ে দিলে খ্রিস্টমাসের আগেই নির্বাচন চান তিনি৷ তাঁর টোরি দলের মধ্যে এমন উদ্যোগ নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ সংসদে এই প্রস্তাব অনুমোদন করাতে হলে বিরোধী লেবার পার্টির সমর্থনেরও প্রয়োজন হবে৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা সম্পূর্ণ দূর হলেই বিরোধী দল আগাম নির্বাচনের পথ সুগম করে দেবে বলে জানিয়েছে৷
ইইউ সদস্য দেশের সরকারগুলির পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় ব্রিটেনের আবেদনের ভিত্তিতে ব্রেক্সিটে বিলম্ব মেনে নেবার পরামর্শ দিয়েছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও এই অবস্থানের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে৷ ইইউ কর্মকর্তাদের মতে, শীর্ষ নেতারা সম্ভবত তিন মাসের বিলম্ব মেনে নেবেন৷ তবে ব্রিটেন তার আগেই ব্রেক্সিট চুক্তি সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে পারলে ইইউ ত্যাগ করতে পারবে৷
অন্যদিকে ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ বড়জোর কয়েক সপ্তাহের বিলম্ব মেনে নিতে প্রস্তুত৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস-ও কিছুদিনের বিলম্বের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ শুক্রবার ২৭টি ইইউ দেশের রাষ্ট্রদূতরা এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ তার আগে ঐকমত্য অর্জনের চেষ্টা চলছে৷ কূটনৈতিক পর্যায়ে সেটা সম্ভব না হলে ইইউ শীর্ষ নেতাদের জরুরি সম্মেলন ডাকা হতে পারে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)