ইঁদুর মারতে গিয়ে মারা গেল দুই শিশু
১৫ নভেম্বর ২০২৪ভারতের চেন্নাইয়ের কাছে কুন্দ্রথুর অঞ্চলে ঘটেছে এই ভয়াবহ ঘটনা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সেখানে এক দম্পতি বাড়িতে ইঁদুর দেখে পেস্ট কন্ট্রোলে খবর দেন। পেস্ট কন্ট্রোলের লোকেরা এসে গোটা বাড়ির কোণায় কোণায় ইঁদুর মারার গুঁড়ো বিষ ছড়িয়ে দিয়ে যায়।
পেস্ট কন্ট্রোল জানিয়েছিল, ওই বিষ খেয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই ঘরের সমস্ত ইঁদুর মারা যাবে। এরপর বাড়ির সকলে দৈনন্দিন কাজ করতে শুরু করেন। রাতে বাড়ি ফিরে দরজা-জানলা বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র চালিয়ে সকলে ঘুমিয়ে পড়েন।
পরের দিন সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন, ওই বাড়ির কেউ দরজা খুলছে না। এক সময় সন্দেহ বাড়ায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা। ভিতরে তখন অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে চারটি দেহ। বাবা-মা এবং দুই সন্তান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দেহগুলি পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাবা-মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা এখনো হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ভর্তি। দুই শিশুর দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘরের ভিতর এসি এবং পাখা চালানোয় ইঁদুরের গুঁড়ো বিষ হাওয়ায় মিশে যায়। যেহেতু দরজা জানলা খোলা ছিল না, তা-ই ওই বিষ বাড়ির সকলের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মিশে যায়। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় দুই শিশুর।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে।
চিকিৎসক সাত্যকি হালদার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে গ্রামের দিকে এমন ঘটনা বার বার ঘটতে দেখেছি। অনেক সময় না জেনে শিশুরা ইঁদুরের বিষ খেয়েও ফেলে। খোলা জায়গায় ইঁদুরের বিষ ছড়ানো বন্ধ না হলে এমন ঘটনা আবারো ঘটবে।''
সাত্যকি জানিয়েছেন, ইঁদুর মারার জন্য যে বিষ ব্যবহার করা হয়, ছোটদের শরীরে তা প্রবেশ করলে মৃত্যু অনিবার্য। ফলে আইন করে এই বিষ প্রয়োগের পদ্ধতির বদল করা প্রয়োজন।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)