আয়রন লেডির ভূমিকায় মেরিল স্ট্রিপ
২১ ডিসেম্বর ২০১১সেই একই হেয়ার স্টাইল, পোশাক এবং অবশ্যই মুক্তার মালা এবং কানের দুল – এসব ছিল আয়রন লেডি মার্গারেট থ্যাচারের সিগনেচার মার্ক৷ আর রাজনৈতিক দক্ষতাতো ছিলই৷ এসব নিয়েই তৈরি হচ্ছে ছবি ‘দ্য আয়রন লেডি'৷
ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার৷ তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের চেয়ে তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনকেই তুলে ধরা হবে ছবিতে৷ অসাধারণ মেক-আপের কারণে মেরিল স্ট্রিপকে অনেকেই মার্গারেট থ্যাচার হিসেবে ভুল করতে পারেন৷ চলচ্চিত্র বোদ্ধারা বলছেন, ‘দ্য আয়রন লেডি' হয়তো মেরিল স্ট্রিপকে ১৭তম অস্কার নমিনেশন দেবে এবং তৃতীয়বারের মত অস্কার লুফে নিতে পারেন মেরিল স্ট্রিপ৷
মার্গারেট থ্যাচারের বয়স এখন ৮৬৷ এবং তিনি ভীষণ অসুস্থ৷ তাও দেখানো হচ্ছে ছবিতে৷ তিনি সারাক্ষণই বিড়বিড় করে তাঁর মৃত স্বামীর সঙ্গে কথা বলছেন৷ ভাবেন পেছনে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা৷ তাঁর সন্তানদের কথা, ক্যারিয়ারের কথা৷ ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের প্রধান হওয়ার কথা৷
তবে একজন মার্কিন মহিলা ব্রিটিশ আয়রন লেডির ভূমিকায় অভিনয় করবেন তা সহজে মেনে নিতে পারছে না ব্রিটিশরা৷ ব্রিটিশ সাংসদ রব উইলসন সরাসরি বিষয়টি হাউজ অফ কমন্সে তোলেন৷ ছবির কাহিনী নিয়েও তিনি আপত্তি তোলেন৷ তিনি জানান, ছবিটি নিয়ে তিনি চিন্তিত৷ তিনি বলেন,‘‘আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না কেন মার্গারেট থ্যাচারের অসুস্থতা নিয়ে ছবি করা জরুরি৷ ব্যারোনেস থ্যাচার রাজনীতিতে ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত, বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সুপরিচিত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁকে এভাবে দেখানো ঠিক হচ্ছে না৷''
দ্যা আয়রন লেডি ছবিটি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ২৬ তারিখে মুক্তি পাবে, অ্যামেরিকায় ৩০শে ডিসেম্বর এবং ব্রিটেনে জানুয়ারি মাসের ছয় তারিখে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক