আস্থাভোটের মুখোমুখি ব্যার্লুসকোনিই এখন ইটালির সংকট
৮ নভেম্বর ২০১১ইটালির সংকট আসলে ইউরো সংকট না ব্যার্লুসকোনি সংকট, এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে৷ তবে আজ মঙ্গলবার ইটালির সংসদে তিনি দেশের বাজেট পরিস্থিতি নিয়ে আস্থাভোটের সম্মুখীন, যে আস্থাভোটের আগেই নানান সমস্যায় বিপর্যস্ত ব্যার্লুসকোনিকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর সরকারের জোট শরিকরাই৷
ইটালির ‘স্ট্রং ম্যান' কী সত্যিই সংকটে
একের পর এক কেচ্ছা কেলেংকারিতে জর্জরিত হলেও ব্যার্লুসকোনি নিজেকে ক্ষমতাকেন্দ্রে ঠিকই টিঁকিয়ে রাখতে পেরেছেন দীর্ঘদিন৷ কিন্তু এবার পরিস্থিতি সত্যিই তাঁর জন্য সঙ্গিন৷ তার কারণ হিসেবে ব্যার্লুসকোনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল নর্দার্ন লিগ-এর নেতা উমব্যার্তো বসি-র পরামর্শই ধরা যেতে পারে৷ বসি ব্যার্লুসকোনিকে সরিয়ে ইটালির প্রাক্তন আইনমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনো আলফানোকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন৷ এখানেই শেষ নয়, এতদিন পর্যন্ত ব্যার্লুসকোনির সঙ্গে সহযোগিতা করা তাঁর দলের এনেক সাংসদের মুখেই শোনা যাচ্ছে বিদ্রোহের সুর৷ তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, বার্লুসকোনির পাশে তাঁরা নেই৷
কী বলছেন ব্যার্লুসকোনি স্বয়ং
ব্যার্লুসকোনি নিজে অবশ্য আস্থা হারান নি৷ চারদিকে বিরোধীতার বাতাস তাঁকে বিচলিত করতে পেরেছে বলে মনে হচ্ছে না৷ কারণ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, তাঁর পক্ষে সমর্থন একটুও কমেনি৷ তিনি নিশ্চিত যে অতীতের মতই এবারেও আস্থাভোটের বৈতরণী তিনি সহজেই পার হয়ে যাবেন৷ যে কারণে, শরিকদলের পদত্যাগ করার পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, দেশ শাসন করার মত সংসদীয় সমর্থন তাঁর পক্ষেই রয়েছে৷ বস্তুত, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত শরিকদলের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ব্যার্লুসকোনি জানিয়ে দেন, আস্থাভোটের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত না দেখে তিনি পদত্যাগের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না৷ পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ব্যার্লুসকোনির রাজনৈতিক প্রভাবে যদি মধ্য দক্ষিণপন্থীরা এই আস্থাভোটে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে ব্যার্লুসকোনির পক্ষে এই আস্থাভোটে জিতে যাওয়াটা কঠিন হবেনা৷
ইটালির আর্থিক পরিস্থিতি ইউরোপের চিন্তার কারণ
ইটালির আর্থিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যেখানে রয়েছে, তাতে সে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অবনমন নিয়েই ইউরোজোনের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ১.৯ ট্রিলিয়ন ইউরোর ঋণের ঘাটতি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুইয়ে মিলিয়ে ইউরোজোনের পর্বর্তী মাথাব্যথা হতে চলেছে ইটালি৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক