আসিয়ান ও বাংলাদেশ
৩ এপ্রিল ২০১২আসিয়ান সম্মেলনে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আহমেদ বলছেন, আসিয়ান'কে মাঝখানে রেখে এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত একটি কমিউনিটি তৈরি করাটা যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে৷ অধ্যাপক আহমেদ মনে করেন, আসিয়ান'এর মত এই ধরণের একটি শক্তপোক্ত সংগঠন দেশের দোরগোড়ায় থাকলে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবসা বাণিজ্যে অগ্রসর হওয়াটা কঠিন হবে না৷ তাঁর মতে, নম পেন'এর এই সম্মেলনটি অত্যন্ত জরুরি৷
এবারের আসিয়ান'এর আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক বিতর্কিত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং উপগ্রহ মহাশূণ্যে পাঠানোর পরিকল্পনা ছায়া ফেলবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বক্তব্য, যেহেতু আসিয়ান'এর একটা লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০১৫ সালের মধ্যে একটা কমিউনিটির বন্ধনে এই দেশগুলিকে বাণিজ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বেঁধে ফেলার, সুতরাং উত্তর কোরিয়া বা এই জাতীয় বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করবে না আসিয়ান৷ এমনকি সীমানা নির্দ্ধারণ নিয়ে চীন, কোরিয়া বা অন্যান্য দেশের যে সমস্ত অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে, সেসবও বড় আকার নেবে না৷ বরং আসিয়ান'এর নেতারা চাইবেন নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে৷
মিয়ানমারের উপনির্বাচনের ইতিবাচক আর গণতন্ত্রমুখী ফলাফল এবারের আসিয়ান সম্মেলন শুরুর ঠিক মুখেই দেখা দেওয়ায়, সেটা আসিয়ান'এর জন্য সুখবর বলে ব্যাখ্যা করলেন অধ্যাপক আহমেদ৷ আর বাংলাদেশের এই আসিয়ান সম্মেলন থেকে প্রাপ্তি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তাঁর মত, বাংলাদেশের গার্মেন্টস বা তৈরি পোশাক শিল্পকে আসিয়েনভূক্ত অন্যান্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে দিতে পারলে সেটা বাংলাদেশের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে আসবে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ