মদ্যপানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ এ তথ্য জানিয়েছে৷
ভারতে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর অন্যতম ভয়াবহ এই ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার৷ সে রাতেই অসুস্থ হয়ে পরদিন শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২২ জন মারা যান৷ এরপর শনিবার দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে৷
‘‘জোরহাট ও গোলাঘাটে ৮৯ জন মারা গেছেন৷ এদের বেশিরভাগই সেখানকার চা বাগানের কর্মী,'' টেলিফোনে ডিপিএ'কে জানান আসামের হোম কমিশনার আশুতোষ অগ্নিহোত্রি৷
তবে ভারতের আঞ্চলিক কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, মৃতের সংখ্যা এরইমধ্যে একশ' ছাড়িয়েছে৷ তা দেড়শ' পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷
ডিপিএ'কে আশুতোষ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি দেড়শ' জনের অনেকেই এখন ‘সংকটমুক্ত'৷ তবে ঠিক কতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তা পরিষ্কার বলতে পারেননি তিনি৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে বলে তিনিও আশঙ্কা করছেন৷
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীরা যে মদ পান করেছেন, তাতে মিথানল (মিথাইল অ্যালকোহল) ছিল, যা বেশি পরিমাণে পান করলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে৷
গোলাঘাটের পুলিশ কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম সাইকিয়া জানিয়েছেন যে, একটি স্থানীয় মদ তৈরির কারখানার মালিকসহ মদ প্রস্তুতের সঙ্গে যুক্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে৷
রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জোরহাটের হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন৷ ‘‘এই ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দেয়া হবে,'' সাংবাদিকদের বলেন তিনি৷
সরকারি হিসেবে, অবৈধভাবে প্রস্তুতকৃত মদ পান করে বছরে ভারতে গড়ে এক হাজার মানুষ মারা যান৷ এই মদ খুবই নিম্নমানের৷ এতে শিল্পে উৎপাদনে ব্যবহৃত অ্যালকোহল ও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়৷ তাই প্রায়ই মদ্যপানে মৃত্যুর খবর শোনা যায়৷
এর আগে ১৯৯২ সালে ওড়িশা রাজ্যে এমন এক ঘটনায় দু'শ জন মারা যান৷ ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মারা যান ১৮০ জন৷ এমনকি মাত্র দু'সপ্তাহ আগে উত্তর প্রদেশে একশ'রও বেশি মানুষ মারা গেছেন৷
জেডএ/এডিকে (ডিপিএ)